স্বাস্থ্য

মনিপাল হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে ১১ ঘন্টায় হাত থেকে বাদ গেল ৪.৫ কেজির টিউমার, বাদ গেল না হাত

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৫ই জুলাই ২০১৯ : এমনটা হতে পারে অনেকে স্বপ্নেও ভাবে নি। তেমনটা করে দেখালো মনিপাল হাসপাতাল। ২৪ বছর বয়সী ঘাটালের এক তরুনীর হাতে একটা টিউমার হয়। সেই টিউমার ধীরে ধীরে বৃহৎ আকার নিতে থাকে। অবশেষে ব্যাঙ্গালুরুর মনিপাল হাসপাতালে যোগাযোগ করলে সেখানকার চিকিৎসকরা। সবশেষে টিউমারটির আকার হটে দাড়িয়েছিল একটা ফুলকপির মত। সেই টিউমারকে প্রায় ১১ঘন্টা অস্ত্রপ্রচার করে বাদ দিতে গিয়ে চিকিৎসকেরা দেখেন হাড়েও সংক্রমিত হয়েছে। টিউমার বাদ দিতে গেলে হাতের হাড়ও বাদ দিতে হবে।চিকিৎসকেরা টিউমার বাদ দিলেও অটুট রাখলো যবতীর হাত। সেটাই মূল চমক।ঘটনাটি ঘটে ২০১৭ সালের মে মাসে।সাম্প্রতিক সেই যুবতীকে প্রকাশ্যে এনে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন কলকাতায় মনিপাল হাসপাতালের একমাত্র যৌথ উদ্যোগে সোনারপুরের কামালগাজী অঞ্চলে ক্লিনিকে। ইউএনআস ক্লিনিকে বহির বিভাগে মনিপাল হাসপাতালের চিকিৎসকেরা নিয়মিত বসছেন এবং রোগীদের দেখছেন। সেখানেই এই যুবতীকে প্রকাশ্যে এনে সকলকে তাক লাগিয়ে দিলেন ডাঃ শ্রীমন্ত বি এস এবং ডাঃ শ্রীকান্ত ভি। যদিও শল্যচিকিৎসায় হাতের অনেকটা অংশ বাদ যায় কিন্তু সেই বাদ যাওয়া অংশ শরীরের অন্য জায়গা থেকে হাড়, রক্ত কণিকা, মাংস পেশী, চামড়া কেটে নিয়ে ধীরে ধীরে সেই হাতকে পূর্ণ রূপ দেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকেরা জানান যুবতীর হাতের টিউমারটির ওজন ছিল প্রায় ৪.৫ কেজি এবং সেখানে ক্যানসার হয়ে যায়। কিন্তু ২ বছর পর তিনি আজ সুস্থ ও সবল। তিনি আজ নিজে সেই হাত দিয়ে শুধু লিখছেন না বাইক চালাচ্ছেন। চিকিৎসকেরা জানান, বর্তমানে এই টিউমার বা ক্যানসার নিয়ে মানুষ সচেতন হয় নি। এই যবতী যদি টিউমারের শুরুর দিকে আসতো তাহলে শরীর থেকে কিছু কাটতে হত না। তার বাঁ পা থেকে হাড় নিতে হয়েছে, তার বাঁ থাই থেকে মাংস নিতে হয়েছে, চামড়া ও ফাইবার নিয়ে একটু একটু করে সব জায়গাটা নতুন করে তৈরি করতে হয়েছে।কিন্তু দু বছর পরে কেন এতবড় ঘটনার প্রকাশ পায় নি প্রশ্ন করা হলে চিকিৎসক জানান, আজ আমরা আমাদের সাফল্য জোর গলায় দাবি করতে পারি যখন রোগী সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ। ধীরে ধীরে তাকে স্বাভাবিক ও সুস্থ করে তুলতে প্রায় ২ বছর সময় লেগেছে। প্রচারে নিলাদ্রী শেখর গাঙ্গুলি ও মৈত্রেয়ী মুখার্জি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *