খবরাখবর

“আত্মনির্ভর ভারত কোভিডোত্তর পর্বে শক্তিশালী ভারতের অভ্যুত্থান ঘটাবে,” হরদীপ সিং পুরী

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২০ : “কোভিড-১৯ কবলিত পরিস্থিতিতে নেতিবাচক মনোভাবকে দমন করে শুভচিন্তার উদয় ঘটবে, আত্মবিশ্বাসের হাত ধরে। ফলে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের বিষয়ে সচেষ্ট হবে সাধারণ নাগরিকরা। সারা বিশ্বের বর্তমান ট্রেন্ডও এই সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্যে সরবরাহ ব্যবস্থা যখন মাত্র একটি দেশের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এবং ঘোরতর দুর্বিপাকের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে সেখানে ভারতের নব অভ্যুত্থান এবং ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা যথেষ্ট প্রশংসনীয়”, প্রভা খৈতান ফাউন্ডেশন আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান রাইট সার্কেলে প্রাক্তন কূটনীতিবিদ, লেখক তথা বিদেশনীতি বিশ্লেষক টি সি এ রাঘবনের সঙ্গে আলাপচারিতায় একথা জানালেন অতিথি হরদীপ সিং পুরী। রাইট সার্কেলের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের মূল্যবান মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরা হয়।

শ্রী হরদীপ সিং তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন, মিনিস্ট্রি অফ হাউসিং অ্যান্ড আরবান অ্যাফেয়ার্স, মিনিস্ট্রি অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড দ্য মিনিস্টার অফ স্টেট, মিনিস্ট্রি অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। আত্মনির্ভর ভারত গঠন প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে তেমন নয়। এর মাধ্যমে ভারতীয় দেশজ পণ্য প্রস্তুতকরণ আরও দ্রুতগতিতে হবে আমাদের দেশ আন্তর্জাতিক স্তরে নিজের স্থান উন্নীত করতে পারবে। আমরা প্রায় চতুর্থ শিল্পবিল্পবের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছি। আইওটি অর্থাৎ ইন্টারনেট অফ থিংস, মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর উদ্ভাবন ও বিকাশের হাত ধরে এই নব বিপ্লবের সূচনা হতে চলেছে। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার মাধ্যমে বিশ্বের সরবরাহ চেনের অংশীদার হতে পারবে ভারত”।

কূটনীতিবিদ হিসাবে ৩৯ বছর সাফল্যের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। এছাড়াও তিনি যে সমস্ত পদে নিযুক্ত ছিলেন সেগুলি হল, ইউনাইটেড নেশনস এর প্রাক্তন ভারতীয় প্রতিনিধি, জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, ইউএনএসসি কাউন্টার টেররিজম কমিটির চেয়ারম্যান। শ্রী পুরীর লেখা দুটি বই হল, ‘পেরিলাস ইন্টারভেনশনস’ এবং ‘ডিলিউশানাল পলিটিক্স’।

কোভিড মহামারীকালে ভারতের লড়াই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের দেশ এইমূহুর্তে পঞ্চম স্তরে রয়েছে এবং ৬ই মে এর পরে বিভিন্ন দফায় ১.৪ মিলিয়ন প্রবাসী ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। “আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি করোনা মহামারীর ফলে এই প্রত্যাবাসন দেশের ইতিহাসে প্রথম।  যে গতিতে নতুন সম্ভাবনা জন্ম নিচ্ছে তাতে ভারত খুব তাড়াতাড়ি নতুন রেকর্ড গড়তে চলেছে এমনটা আশা করাই যায়। মহামারী নিয়ন্ত্রণ করতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অন্যান্য বিধি নিষেধকে মান্যতা দিয়ে সমস্ত পরিকল্পনা রূপায়ন করা হবে”।

করোনা মহামারীর কারণে না জানা অনেক সমস্যা জন্ম নিলেও এর কিছু ইতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। যেমন, প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গঠন, অতিরিক্ত শয্যা আয়োজন, পিপিই, ভেন্টিলেটর, জরুরী ওষুধ সহ অন্যান্য পরিষেবা পৃথিবীর বহু উন্নত দেশে পাঠিয়েছে ভারত।

মহামারী দমনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচীর ভূয়সী প্রশংসা করেন হরদীপ সিং। “জীবন ও জীবিকার সংস্থানে জরুরী সিদ্ধান্ত গ্রহণ একান্তভাবে আবশ্যক ছিল। প্রাক-কোভিড পরিস্থিতিতে প্রায় ২.৫-৩ লক্ষ যাত্রী প্রতিদিন বায়ুপথে যাতায়াত করত। আগামী দীপাবলীর মধ্যে ১.৫-২ লক্ষ যাত্রী উড়ানে যাতায়াত করতে পারবেন, এমনটা আশা করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই আমরা কোভিড-পূর্ববর্তী দিনের মত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পাব”, আশ্বাস দেন শ্রী পুরী। প্রচারে মিডিয়া শাইন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *