পূর্ব ভারতের একমাত্র নোডাল সেন্টার জিএনআইটি আয়োজন করল এস৪ডিএস ইনোভেশন হ্যাকাথন
নিজস্ব প্রতিনিধি, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১৬ই অক্টোবর ২০১৯ : দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রয়োগ এবং সমস্যা সমাধানের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার আর সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে হ্যাকাথনের আয়োজন। উদ্যোক্তা বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।যেখানে দলগতভাবে নিত্যনতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করা হয়। সহজ সমাধানের চেষ্টা করা হয়। যাতে পাওয়া যায় নতুন দিশা, নতুন কোনও যন্ত্র।
এই জাতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করার অভিজ্ঞতা গুরু নানক ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (জিএনআইটি) –এর কাছে নতুন কোনও বিষয় নয়।এটি জেআইএস গোষ্ঠীর অন্যতম সেরা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এস৪ডিএস ইনোভেশন হ্যাকাথন আয়োজনের জন্য এটি একমাত্র নোডাল সেন্টার।অনুষ্ঠান আয়োজনের সহযোগিতায় সোসাইটি ফর ডেটা সায়েন্স।১৫ অক্টোবর তা আয়োজন হয়েছিল।টানা ১২ ঘণ্টার প্রতিযোগিতায় এ রাজ্য ছাড়াও নাসিক, পুনে, দিল্লি, মুম্বইয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার অংশ নিয়েছিলেন। জেআইএস গোষ্ঠীর পড়ুয়ারাও যোগ দিয়েছিলেন সেখানে।
জেআইএস গোষ্ঠীর এমডি সর্দার তরণজিৎ সিং বলেন, ‘হ্যাকাথনের সাহায্যে দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পাওযা যেতে পারে।প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে আরও আরামদায়ক করে তুলতে পারে।এমন প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে গিয়ে আমরা তা দেখতে পেয়েছি।এটা যেমন পড়ুয়াদের জন্য উপকারী, তেমনই কর্পোরেট, সমাজের জন্য অত্যন্ত কাজের।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এস৪ডিএস (সোসাইটি ফর ডেটা সায়েন্স)–এর সভাপতি, সাধরণ সম্পাদক, ডিন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন অধ্যাপক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এস৪ডিএস–এর অন্যতম সক্রিয় সদস্য। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলেজের অধ্যক্ষ, অধিকর্তারাও।
জিএনআইটি–র অধ্যক্ষ ড.শান্তনু সেন বলেন, ‘শিল্প এবং সমাজে বিভিন্ন রকম সমস্যার কথা জানি। অনেক সময় নতুন সমস্যা তৈরি হয়।কী করে কম সময়ে তার সমাধান করা যেতে পারে, সে জন্যই হ্যাকথনের আয়োজন।মূলত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমাধান খোঁজার চেষ্টায় উৎসাহ দেওয়া হয় পড়ুয়াদের।এখন নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেকটাই বদলে গেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান হ্যাকাথনের মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগ করে। সেটাই যেন পরীক্ষা।সেখানে প্রার্থীর দক্ষতা, প্রযুক্তির ওপর দখল, গতি, ধৈর্য, প্রাণশক্তি, উৎসাহ, সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করার ক্ষমতার মতো দিকগুলিকে দেখে কাজে নিয়ে নেওয়া যায় সরাসরি।এর পাশাপাশি শিল্প ক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যা, বিভিন্ন মন্ত্রী, সরকারের কাজের সমস্যা, সামাজিক সমস্যা তুলে ধরা হয় পড়ুয়াদের কাছে।তার সমাধানের রাস্তা বাতলানোর জন্য।এটা নিজেদের প্রমাণ করে দেখানোর একটা বড়সড় মঞ্চ।এবং কাজ করে অনেক আত্মবিশ্বাসও পাওয়া যায়।’
এস৪ডিএস ইনোভেশন হ্যাকাথন: ডেটার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এর মধ্যে থাকা তথ্যভাণ্ডার।ডেটা নির্ভর বিজ্ঞান হল ডেটা থেকে জ্ঞানটুকু সংগ্রহ করে নেওয়া, কী বলতে চাইছে সেটা বুঝে নেওয়া এবং কোনও ঝক্কি ছাড়াই সে কাজ করে ফেলা।এস৪ডিএস ইনোভেশন হ্যাকাথন জাতীয় স্তরের একটি অনুষ্ঠান। যেখানে একসঙ্গে কাজ করার জন্য পড়ুয়াদের উৎসাহ দেওয়া হয়।ডেটা নির্ভর সমস্যা সমাধানে তাদের সাহায্য নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের দক্ষতা, সৃজনশীল ক্ষমতা দেখানোর সুযোগ থাকে।উদ্ভাবনী শক্তি, নিজেদের বিশ্লেষণী ক্ষমতা দিয়ে সমাজের আরও ভাল করার রাস্তা খুলে দেয়।দেখা যায় এর ফলে মানুষের উপকার হয়।প্রযুক্তির সাহায্যে কীভাবে সমাজের আরও উপকার করা যেতে পারে, আগামী দিনের পেশাদারদের সেটাই জানানো হয়।
ডেটা সায়েন্স ইনোভেশন: উন্নত বিশ্লেষণ ক্ষমতাকে বাধা দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি জিনিস রয়েছে। যেমন ‘ডিপ নিউট্রাল লার্নিং নেটওয়ার্কস’, ‘কমপ্লিকেটেড ক্লাসিক মেশিন লার্নিং মডেলস’, ‘অ্যাকিউরেসি অফ ট্রান্সপ্যারেন্ট মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদ্মস’।জ্ঞানের পরিসংখ্যান সংক্রান্ত মডেলের জন্য দরকার অনেক ডেটা। যা এখানে পাওয়া যায়।আর এখানেই উদ্ভাবনী শক্তি খুব কার্যকর হতে পারে। ডেটা সায়েন্সের বিশাল বাজারে তারা দারুণ কার্যকর হতে পারে।আর তাই এস৪ডিএস ইনোভেশন হ্যাকাথন বিশ্লেষণী মঞ্চ তুলে দেয় পড়ুয়াদের কাছে।এখানে যোগদানের অর্থ বিশ্লেষণ, উন্নতি, উদ্ভাবন, নেটওয়ার্ক এবং বৃদ্ধি।প্রচারে : গ্রে ম্যাটার্স।