গড়িয়া স্টেশনে জয়হিন্দ বাহিনীর দলীয় কর্মসূচীতে কোন কাউন্সিলারকে দেখা গেল না, কারণের সন্ধানে দল
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২৩শে জুন ২০১৯ : তৃণমূল দলের হাইকমান্ড মমতা ব্যানার্জি লোকসভা নির্বাচনের পর দলের খারাপ ফলের বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষনের পর সকলকে নির্দেশ দেন মানুষের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে। তিনি মনে করেন দলের কিছু নেতা-কর্মী-কাউন্সিলারদের আচরণে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। সেই নির্দেশকে মাথায় নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি পল্লব কান্তি ঘোষ প্রতি রবিবার দলীয় “জাগো বাংলা” সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিন দক্ষিণ ২৪ পরগণার প্রতিটা স্টেশনে স্টল করে মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উদ্যোগটা খুবই ভাল বলা যেতেই পারে। এতে মানুষের সাথে যেমন একটা জনসংযোগ তৈরির রাস্তা হবে তেমনই মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভ ও দলের প্রতি ধরনার একটা পরিষ্কার ছবি ধরা পড়বে। আজ ছিল গড়িয়া স্টেশনে এই দলীয় কর্মসূচী। স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষারত মানুষের হাতে নিজে ঘুরে ঘুরে দলের সংবাদপত্রটি সকলের হাতে নির্ধারিত মূল্যে তুলে দেন পল্লবকান্তি ঘোষ, সাথে উপস্থিত ছিলেন গড়িয়া জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি অরিন্দম দত্ত, গনেশ প্রসাদ, তাপস দাস, মাধাই সরকার, জয়ন্ত মন্ডল, সুপ্রিয় দে, বিশ্বজিত সাউ, সুদীপ্ত দে, তীর্থপ্রতিম বিশ্বাস সহ অনেকে। কিন্তু সবের মধ্যে যেটা খুব চোখে লাগল এই দলীয় কর্মসূচীতে এলাকার ৬টা ওয়ার্ডের কোন কাউন্সিলারদের দেখা গেল না। এখন প্রশ্ন তবে কি তাদের এই জনসংযোগের তেমন কোন গুরুত্ব নেই যেখানে লোকসভা নির্বাচনে ২টো ওয়ার্ডে বিজেপির কাছে হার মানতে হয়েছে। ২ নং ও ৫ নং ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে ছিল তৃণমূল যেখানে দুটো ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে বর্তমানে রয়েছে। এছাড়া ৩ নং ওয়ার্ডে মাত্র ১ ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। এটাকেও একপ্রকার হার বলতে হয়। প্রায় ২ ঘন্টা ধরে এই কর্মসূচী চলে যার মধ্যে ৩০ মিনিট সময় করে উপস্থিত থাকতে পারতো ৬জন কাউন্সিলার।তবে কি তাদের মধ্যে কোন ভয় কাজ করছে? মানুষের প্রশ্ন। এদিন প্রায় ৩০০টি জাগো বাংলা বিক্রি হয়। এব্যাপারে জয়হিন্দ বাহিনীর জেলা সভাপতি বলেন, দল এখন বিপদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, আমাদের মত নেতা কর্মীদের উচিত রাস্তায় নেমে মানুষের মুখোমুখি হওয়া। মানুষ আমাদের দেখলে কিছুটা আশ্বস্ত হয়। আজ ৩০০ কাগজ বিক্রিটা বড় নয়, বড় হল মমতা ব্যানার্জির বার্তা ৩০০ টা বাড়িতে জায়গা করে নিল। এছাড়া ৩০০টা কাগজ যেখানে দেখবে একটু মানুষ চোখ বুলিয়ে দেখবে। আমরা আগামী রবিবার নরেন্দ্রপুর স্টেশনে একইভাবে জাগো বাংলা বিক্রি করবো তারপর সোনারপুর। এভাবেই গোটা জেলায় স্টেশনগুলোতে জাগো বাংলা ভ্রাম্যমান বিক্রয় কেন্দ্র কর্মসূচি গ্রহণ করবো।এতে কর্মীরাও উৎসাহিত হবে, তাদের মনোবল বাড়বে।আমরা আজ সাধারণ যাত্রী ও পথচলতি মানুষের জন্য এই তীব্র গরমে পানীয় জলের ব্যবস্থাও রেখেছিলাম।