খবরাখবর

“অস্তিত্ব”-এর উদ্যোগে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিনের উদ্বোধন করলেন অভিনেত্রী সোহিনী, রুমা সহ অভিনেতা রণজয় ও অভিনন্দন

নিজস্ব প্রতিনিধি, এবিপিতকমা, দঃ ২৪ পরগণা, ৬ই জানুয়ারি ২০২০ : এই মুহুর্তে সারা বাংলায় স্যানিটারি ন্যাপকিনের উপর নজর দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। বিভিন্ন জেলা মেয়েদের স্কুলে এখন স্যানিটারি ন্যাপকিনের জন্য মেশিন বসানো হচ্ছে যাতে স্কুলের ছাত্রীরা সুলভে ন্যাপকিন নিতে পারে এবং নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারে। সাম্প্রতিক “লেলিন সরণী আপলিফটমেন্ট ওয়ালফেয়ার ট্রাস্টের” উদ্যোগে এবং সমাজসেবী সংস্থা “অস্তিত্ব”-এর উদ্যোগে বারুইপুর ক্যানিং রোডে উত্তরভাগে ডাঃ অঙ্কিতা চক্রবর্তী পরিচালিত “মায়ের আশ্রমে” গ্রামের মহিলাদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিনের উদ্বোধন করেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার, রুমা ভদ্র এবং মিস জিও খ্যাত জেসমিন মিত্র।

এই মেশিন স্থাপনের এর ফলে গ্রামের প্রতিটা মহিলা ও যুবতীরা মাত্র ৫টাকায় ন্যাপকিন কিনতে পারবেন।সংস্থার তরফ থেকে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে এই মেশিন স্থাপন করা হয়েছে বলে সূত্রে খবর।এছাড়া গ্রামের আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের শীতের থেকে মুক্তি দিতে ১০০টি কম্বল তুলে দেন অভিনেতা রণজয়, অভিনেতা অভিনন্দন দত্ত এবং সংস্থার তরফ থেকে জোগেশ বেহেটি, তাহা হজরত, অভিক সরকার, আকাশ সরকার, সাংবাদিক অম্বর ভট্টাচার্য।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই মেশিন স্থাপনের জন্য উৎসাহ দিয়েছেন এবং সাংসদ মিমি চক্রবর্তী সহ বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের মত অনেক জনপ্রতিনিধিরা উদ্যোগ নিয়েছেন এই মেশিন স্থাপনের ব্যাপারে।মেশিন স্থাপন করতে এসে অভিক সরকার ও আকাশ সরকার জানান, আমরা এধরনের মেশিন স্থাপনের ব্যাপারে খুবই উদ্যোগী কারণ এই মেশিনের মাধ্যমে গ্রামের মহিলাদের হাইজিনিক রাখা সম্ভব।গ্রামের মহিলারা অর্থের অভাবে স্বাস্থ্যকর ন্যাপকিন না ব্যবহার করে বাড়ির কোন ছেঁড়া কাপড় ব্যবহার করে যা তাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।

এছাড়া আমরা জনপ্রতিনিধিদের তহবিলের অর্থে বিভিন্ন স্কুলে ও কলেজে এই মেশিন স্থাপন করছি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই মেশিন ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট উৎসাহ প্রদান করছে।অভিনেত্রী সোহিনী সরকার ও রুমা ভদ্র বলেন, এট উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয় কারণ এর ফলে গ্রামের মহিলারা সচেতন হবেন এবং নিজের স্বাস্থ্যের উপর যত্ন নিতে পারবেন। বহু মহিলা ও যুবতীরা স্ত্রীরজের সময় লজ্জ্বায় তা প্রকাশ করে না ফলে তারা বাড়িতে ফেলে দেওয়া ছেঁড়া কাপড় ব্যবহার করে যা পরবর্তীতে অনেক ধরনের জটিল স্ত্রীরোগের সৃষ্টি হয়।অনুষ্ঠানে গ্রামের দরিদ্র পিছিয়ে থাকা মানুষেরা কম্বল হাতে পেয়ে খুবই খুশি ও আপ্লুত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *