খবরাখবর

রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বিদ্যুৎ বিপর্জয় তৎপরতার সাথে মোকাবিলায় পাপাই দত্ত

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২৬শে মে ২০২০ : গত ১৯শে মে থেকে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ বিপর্জয় শুরু হয়। রাতে এক লড়ির ধাক্কায় নবশ্রী বাজারে পোস্ট ভেঙে যায়, সেই রাত থেকেই নবগ্রাম সহ নবশ্রী বাজার এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। সেই রাতে আমি নিজে উদ্যোগী হয়ে বিদ্যুৎমন্ত্রীর দপ্তরে ফোন করি এবং রাতেই সোনারপুর পাওয়ার স্টেশন থেকে মেরামতির জন্য লোক আসে। পরেরদিনের কথা তো আর বলার নয়।সকাল ৭টায় বিদ্যুৎমন্ত্রীকে ফোন করি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় বিদ্যুৎ দপ্তর। সেদিন সারাদিন লেগে গেছে নবশ্রী বাজারের পোস্ট নতুন করে লাগাতে। ততক্ষনে আমফান ঝড়ের দাপট শুরু হয়ে গেছে। এরপর গোটা গড়িয়া স্টেশন চত্বর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

এরপর থেকেই সোনারপুর উত্তর বিধানসভার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি পাপাই দত্ত নিজে উদ্যোগ নিয়ে বিদ্যুৎ বিপর্জয়ের মোকাবিলায় রাস্তায় নামে, তাঁকে সহায়তা করে ৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অরিন্দম দত্ত।২২শে মে পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসার অপেক্ষার পর পাপাই দত্ত সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার সি আই সি নজরুল আলি মন্ডলের সাথে যোগাযোগ রেখে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করতে শুরু করে। ২দিন ধরে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় মেরামতির কাজের তদারকির কাজ করে ২৫শে মে নজরুল আলি মন্ডলের তৎপরতায় ও সরাসরি বিদ্যুৎ দপ্তরের সাথে যোগাযোগ রেখে বিদ্যুৎ সংযোগ সম্ভব হয়।

এদিকে ৫ং ওয়ার্ডের মানুষ জলের অভাবে বিরক্ত হয় ওঠে, অবশেষে ধৈর্য্যের বাধ ভাঙে। এই মোওকায় কিছু ব্যবসায়ী জেনারেটার দিয়ে পাম্পের জল তুলিয়ে দিয়ে প্রতি বাড়ি থেকে ৫০০ টাকা করে নিতে শুরু করে। তাদের মূল্য নির্ধারিত হয় লিটার প্রতি ১টাকা করে। মানুষ নিরুপায় হয়ে সেই রাস্তা নেওয়া শুরু করে দেয়। এই লকডাউন পরিস্থিতিতে যেখানে মানুষের হাতে অর্থ নেই সেখানে লিটার প্রতি ১টাকা খুবই চাপের হয়ে ওঠে। অন্যদিকে ৭ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা রঞ্জিত মন্ডল শোনা যায় এই জেনারেটার ব্যবসায়ীদের ডেকে হুশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেন জেনারেটারের তেল খরচ মাত্র ৩৫টাকা এছাড়া নিজেদের রোজগারের কথা মাথায় নিয়ে প্রতি বাড়ি থেকে ১০০ টাকা করে নিতে বলেন। এর অন্যথা হলে সেই জেনারেটার বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু এই সময় ৫নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা তরুণ কান্তি মন্ডলের সেরকম কোন উদ্যোগ দেখতে পায় নি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। মানুষ যখন অসহায়তার চরমে পৌঁছে গেছে তখন রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার সি আই সি নজরুল আলি মন্ডলের নির্দেশে পাপাই দত্ত নরেন্দ্রপুর থানার আই সি সহ বিদ্যুৎ অফিসের উচ্চপদ আধিকারিকদের সাথে যোগাযোগ করে গতকাল রাতে বিদ্যুৎ সংযোগ করাতে সক্ষম হয়। যদিও এর নেপথ্যে নজরুল আলি মন্ডলের ভূমিকা অস্বীকার করার জায়গা নেই। অসহায় মানুষের সাথে সরাসরি সহযোগিতা করার আর্জি জানায় পাপাই দত্ত ও গড়িয়া আই এন টি টি ইউ সি-র আহ্বায়ক পিন্টু দেবনাথ।গতকাল রাতে ৫নং ওয়ার্ডের অধিকাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ ফিরে পেতে মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *