ভারি বৃষ্টির ফলে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড জলমগ্ন, সুরাহার জন্য রাস্তায় নামলেন সেই অশোকা
অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা, সোনারপুর, ১৭ই জুন ২০২১ : গতকাল সারারাত বৃষ্টি হওয়াতে গড়িয়া চত্ত্বরে বহু ওয়ার্ডে বেশ জল জমে যায়। এই জল জমার পিছনে একটা বড় ভৌগলিক কারণ আছে। গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন প্রায় সব ওয়ার্ডের ভৌগলিক অবস্থান অনেকটা একটা কড়াই-এর মত। আর এই কারণেই এখানে অল্প বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে।এটা আজকের অনেক বড় মাপের সব বৈদ্যুতিন চ্যানেলের সাংবাদিকের জানা নেই তাই তারা জলমগ্ন অবস্থা দেখলেই নিজেদের চ্যানেলের টিআরপি বাড়াতে খবর পরিবেশন করে জানাতে চায় যে এই ওয়ার্ডগুলোতে পৌর প্রতিনিধিরা নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করে না।কিন্তু বাস্তবে ঘটনা তা নয়।
রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের অবস্থা ঠিক তাই হয়েছিল। সকাল হতেই স্থানীয় বিদায়ী পৌরমাতা অশোকা মৃধা রাস্তায় নেমে পড়েন। তিনি গোটা ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন এবং যেখানে নিকাশি ব্যবস্থা করা সম্ভব সেখানে তাই করে দিয়ে দ্রুত জল নামানোর ব্যবস্থা করেন। এই সময় জনমগ্ন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে ওয়ার্ডে আর কাউকে দেখা যায় নি।যারা নিজেদের পয়সায় বড় বড় হর্ডিং ঝুলিয়ে মানুষের কাছে বলতে চেয়েছেন যে “এই ওয়ার্ডের ভুমিপুত্রকে চায়”। যদি কেউ ভুমিপুত্র হয়ে থাকেন তবে কি বিদায়ী পৌরমাতা ভুমির বাইরের ছিলেন? মানুষ এখন এই প্রশ্ন করছেন। আর কে চেয়েছে? সেটাও মানুষের কাছে পরিস্কার নয়। নিজেই নিজের ঢাক বাজিয়ে জানান দিচ্ছেন যে তিনি প্রকৃত ভুমিপুত্র যাকে বেলা ১২টার পর কেউ দেখে না আবার সন্ধ্যা ৭টার পর দেখে না। মানুষ বিপদে পড়লে পরিষেবার জন্য কার কাছে যাবে এবং কোথায় যাবে? মানুষের এই প্রশ্নের উত্তর নেই কারো কাছে। ওয়ার্ডের মানুষ একটাই কথা বলছে যে যাই বলুক, কোন সমস্যা হলে সেই ১০ বছরের পৌরমাতা অশোকা মৃধাকেই দেখা যায়। আজও তাঁকেই দেখা গেল রাস্তায় নেমে বৃষ্টিতে ভিজে ও হাটু জলে নেমে মানুষের সমস্যার সমাধান করতে।সকাল থেকে বিদায়ী পৌরমাতা তথা ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর অশোকা মৃধা নিজের ওয়ার্ডের সবুজ সংঘ, নতুন দিয়াড়া, পাঁচপোঁতার ভাড়ের গলি, নেতাজি পল্লী, সবুজ পল্লী পরিদর্শন করে দেখেন। কিন্তু তথাকথিত সেই ফেসবুক হিরোদের কিন্তু মানুষ রাস্তায় দেখে নি। এখানেই মানুষ সমালোচনা করছে আর মিচকি মিচকি হাঁসছে, বলছে এরা আবার নাকি প্রার্থী হবে, ভোটে দাঁড়িয়ে মানুষের জন্য কাজ করবে!