রাজনীতি

রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ২৮ নং ওয়ার্ডে পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে বিজেপি টিআরপি বাড়াতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত চক্রান্ত করছে

অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা, সোনারপুর, ২৯শে এপ্রিল ২০২১ : সদ্য বিধানসভা নির্বাচন মিটেছে আর সাথেসাথে বিজেপি পৌরসভার গেমপ্ল্যান করতে শুরু করে দিয়েছে। সাম্প্রতিক রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ২৮ নং ওয়ার্ডে এক পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে বিজেপি ময়দানে নেমে পড়েছে। যেখানে বিজেপি একপ্রকার যুক্ত সেখানে তৃণমূলকে ঢাল করে মানুষের কাছে তৃণমূলকে দুর্নীতিগ্রস্থ প্রমান করে উদ্ধার হতে চাইছে বিজেপি।

এলাকায় এবিষয়ে বেশ চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এই ওয়ার্ডের এক বিজেপি কর্মী পৌরসভার টিকিট নেওয়ার জন্য নিজের টিআরপি বাড়াতে বেশ স্বক্রিয় হয়ে উঠেছেন। এই ওয়ার্ডে বিজেপির তেমন সংগঠন না থাকলেও এই বিজেপি নেত্রী চৈতালি চ্যাটার্জি (ভট্টাচার্য) এলাকায় পরিচিত টুসী বলে পরিচিত এক পুকুর ভরাট রুখতে ময়দানে নেমে নরেন্দ্রপুর টাউন তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতির নামে পোস্টার মেরেছে যেখানে পুকুর ভরাট হচ্ছে সেখানে। এই পোস্টার দেখার পর তৃণমূলের কর্মীরা যথেষ্ট উত্তেজিত হয়ে পড়ে কারণ এই পুকুর ভরাটের সাথে গোপাল দাস কোনভাবেই যুক্ত নন বলে তারা দাবি করে। তাদের বক্তব্য এই পুকুর ভরাট করছে স্থানীয় বিজেপি কর্মী টুসী-র দাদা প্রমোটার চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য (টুটুন)। গোটা ওয়ার্ডের মানুষ বলছে এই দাদা-বোনের সুন্দর কেমিস্ট্রি আছে। দাদা পুকুর ভরাট করছে আর বিবাহিত বোন তৃণমূলের নামে পুকুর ভরাটের অভিযোগ করে বাজার গরম করছে কারণ সামনে পৌরসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হতে চাইছে চৈতালি (টুসী)। এমনকি রাতের অন্ধকারে বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃনমূল প্রার্থী বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের প্রচারের ব্যানার খুলে পুকুর ঘিরে রাখা টিনের ঘেরাটপে লাগিয়ে দেয়। এরপর চৈতালি চ্যাটার্জি নিজেই উদ্যোগী হয়ে পুকুরের চারিদিকে দাদার লাগানো টিন ভেঙে দেয়।নিজেই ভেঙে দাদার নামে এবার জেহাদ ঘোষণা করে বলে পুকুর ভরাট করা যাবে না, সে যেই ভরাট করুক। এই নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে ভট্টাচার্য পরিবারে।

অবশেষে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার অবস্থা হলে ২৮ নং ও ২৯নং ওয়ার্ডের অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা গোপাল দাসের কাছে অনুরোধ করে যাতে এলাকায় শান্তি বজায় থাকে। এরপর টুসীর সাথে বিজেপি ও তৃণমূলের কিছু নেতৃত্ব ও কর্মীরা আলোচনা করলে টুসী সেখানে প্রকাশ্যে তার আচরণের জন্য ক্ষমা চায়।আপাতত সেই পুকুর ভরাট বন্ধ আছে যদিও সেভাবে পুকুর ভরাট হয়নি, সবে শুরু হয়েছিল। বিজেপির এই স্থানীয় কর্মী একদিকে বিধায়ক, পৌরমাতা, তৃনমূল টাউন সভাপতি সকলের নামে এই চক্রান্ত করে তৃণমূলের বদনাম করে নিজের টিআরপি বাড়াতে গিয়েছিলেন। এলাকার মানুষ জানাচ্ছে টুসী-র দাদা টুটুন পরিচিতদের মধ্যে এমনও বলেছে বোনের পৌরসভায় টিকিট আদায়ের জন্য যত টাকা লাগবে খরচ করতে রাজি আছে, যেভাবে সম্ভব টিকিট আদায় করে ছাড়বে।তবে কি দাদা প্রমোটার বলে টিকিটের জন্য দাদাকে ব্ল্যাকমেল করছে বোন? প্রশ্ন অনেকের মনে। বর্তমানে তৃনমূল টাউন সভাপতি গোপাল দাসের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *