কার্তিক ব্যানার্জির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুলের কুরুচিকর মন্তব্য পোস্ট করার জন্য নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ জানালেন পল্লবকান্তি ঘোষ
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২৪ই মে ২০২০ : কার্তিক ব্যানার্জি জয়হিন্দ বাহিনীর রাজ্য সভাপতি, আর তাঁর নামে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ছবি পোস্ট করে কুরুচিকর মন্তব্য ঝড় তুলে দিল গোটা রাজ্যে। নারায়ণ স্বরূপ নিগম নতুন স্বাস্থ্য সচিবের দায়িত্বভার নেওয়ার সাথে সাথে বাবুলের এই পোস্ট গোটা তৃণমূল দলকে জ্বালিয়ে দিল।প্রতিবাদে ফেটে পরে রাজ্য জয়হিন্দ বাহিনী। আজ নরেন্দ্রপুর থানায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি পল্লব কান্তি ঘোষের নেতৃত্বে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানো হয় এবং আইসি সুখময় চক্রবর্তীর কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিন নরেন্দ্রপুর থানায় পল্লব কান্তি ঘোষের সাথে উপস্থিত ছিলেন রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার সি আই সি ও সোনারপুর উত্তর বিধানসভার মূল সংগঠক নজরুল আলি মন্ডল, সোনারপুর উত্তর বিধানসভার জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি বিশ্বজিত দাস (নন্দ), বোড়াল টাউন জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি অরুণ রায়, গড়িয়া টাউন জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি অরিন্দম দত্ত, নরেন্দ্রপুর টাউন জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি ইসরাফিল সরদার সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতিরা।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়-র এই কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ করতে গিয়ে পল্লব কান্তি ঘোষ জানান, আমাদের কাছে বাবুল সুপ্রিয় একজন শিল্পী হিসাবে অনেক আগে থেকে পরিচিত, তারপর তিনি আজ বিজেপি সরকারের ছত্রছায়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। আজ তিনি নিজের সাংস্কৃতির রুচিবোধ যেভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরলেন তাতে তাঁর শিল্পসত্তায় আঘাত লাগলো। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর থেকে তিনি শিল্পী হিসাবেই সকলের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে সেভাবে কোন কাজ করতে পারেন নি, তাই তাঁর টিয়ারপি বাড়ানোর জন্য তৃণমূলকে হাতিয়ার করতে হল।তিনি নিজেই ফের একবার প্রমাণ করে দিলেন তৃণমূলই একমাত্র দল কাউকে জনপ্রিয় করতে পারে।
এর আগে বাবুল সুপ্রিয় আমাদের সর্বভারতীয় নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সাথে মুড়ি ভাগ করে খেয়েছিলেন। তখনও তিনি নিজের টিয়ারপি বাড়িয়েছিলেন কারণ তখন তাঁকে কেউ বিজেপির নেতা হিসাবে চিনতো না। আজও তাঁর জায়গা যে একই আছে তিনি নিজেই তা বিঝিয়ে দিলেন। আমরা তাঁর এই অপসংস্কৃতি ও কুরুচিকর মানসিকতার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রয়োজনে যত দূর যেতে হয় আমরা সাংগঠনিক ভাবে যাব।আমরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক স্তরে শাস্তির দাবি করছি। আমরা অবিলম্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর থেকে তাঁর এই আচরণের জন্য রাজ্য সভাপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে লিখিত চিঠির দাবি জানাচ্ছি।