কার্যকরি সভাপতির পদ না থাকলেও ঝাঁঝ কমেনি অনিরুদ্ধ-র, ৭২ ঘন্টার মধ্যে তারকের দেহরক্ষীর ব্যবস্থা করলেন
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, দঃ ২৪ পরগণা, ২৮শে জুলাই ২০২০ : সদ্য রাজ্য যুব তৃণমূল ও জেলা তৃণমূলের নতুন কমিটি ঘোষণা করলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি। সেই তালিকায় তিন জেলার কার্যকরি সভাপতির নাম ছিল না যার মধ্যে দঃ ২৪ পরগণা, দঃ কলকাতা ও মুর্শিদাবাদ।কিন্তু দঃ ২৪ পরগণার তৎকালীন যুব তৃণমূল কংগ্রেস কার্যকরি সভাপতি অনিরুদ্ধ হালদার অভিষেক ব্যানার্জির টিমের একজন দক্ষ ও কর্মঠ সংগঠক থাকার কারণে বর্তমানে যবশক্তি-র জোনাল হেডের দায়িত্ব প্রাপ্ত। যুবশক্তি-র জোনাল হেড হলেও সেটার দায়িত্বেও সেই অভিষেক ব্যানার্জি।রাজ্য, জেলা ও ব্লকের সব যুব তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি থেকে কার্যকরি সভাপতির পদে কাউকে রাখা হয় নি। বহু কার্যকরি সভাপতিদের রাজ্য কমিটিতে নেওয়া হল ঠিকই কিন্তু এদের বাইরে যাদের রাজ্য কমিটিতে রাখা হয় নি তাঁদের নিয়ে অভিষেক ব্যানার্জি কোন বলিষ্ঠ চিন্তা ভাবনা করেছেন।
বহুদিন ধরে কুলপি ব্লকে বিধায়ক জোগরঞ্জন হালদার ও সেই ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তারক নাথ প্রামানিকের মধ্যে একটা চোরা অসন্তোষ ছিল। এই ব্লকে তারক প্রামাণিক যে ধীরে ধীরে বিধায়কের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছেন তারক তা বেশ ভালোই বুঝতে পারছিলেন। আর সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে বহু রকমের চক্রান্তের রাস্তা গ্রহণ করেন যাতে তারক দলীয় কাজ না করতে পারে। কিন্তু যুবশক্তির সদস্য করা নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় প্রায় ২২ হাজার সদস্যকে যোগদান করিয়ে শীর্ষে আছে তারক। কিন্তু তাঁর জীবন সংশয় হতে পারে ভেবে তৎকালীন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরি সভাপতি অনিরুদ্ধ হালদারকে ঘটনা জানান। এরপর অনিরুদ্ধ হালদার খোদ অভিষেক ব্যানার্জিকে ঘটনা জানিয়ে ৭২ ঘন্টার মধ্যে তারক প্রামানিকের দেহরক্ষীর ব্যবস্থা করেন। এব্যাপারে তারক প্রামানিকের সাথে আমরা কথা বললে তিনি জানান, আমি দলের একজন বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে নিজেকে সমর্পন করেছি। দল আমার নিরাপত্তার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁকে সাধুবাদ জানাই, তবে সব থেকে আমি কৃতজ্ঞ আমাদের একমাত্র নেতা যাকে আদর্শ করে আমার রাজনীতি সেই অভিষেক ব্যানার্জি এবং তাঁর পরেই যদি কাউকে মানতে হয় তাঁর নাম অনিরুদ্ধ হালদার। আমি অনিরুদ্ধ হালদারকে আমার সমস্যা জানাতেই তিনি উদ্যোগী হয়ে এভাবে অভিষেক ব্যানার্জিকে বলে দেহরক্ষীর ব্যবস্থা করেবেন ভাবি নি।এর ফলে আমার কাজ করার তাগিদ আরও বেড়ে গেল কারণ এখন আর আমার জীবন নিয়ে কোন ভয় থাকলো না।