বালি বিধানসভার বিধায়ক বৈশালী ৫ বছরের অভিজ্ঞতা ও উন্নয়ন প্রকাশ করলেন “বৈশালী’স ডায়রি”
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, হাওড়া, ৭ই এপ্রিল ২০২১ : বালি বিধানসভায় গত ৫বছর তৃণমূলের বিধায়ক হিসাবে বৈশালী ডালমিয়া নেপথ্যে থেকে চুপচাপ মানুষের সেবা করেছেন।কোনদিনও তিনি মানুষের সামনে এসে সেবা করেন নি। দলের কর্মীদের উন্নয়নের কাজে লাগিয়েছেন। মহিলাদের উন্নয়নের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।কিন্তু এত কিছু করার পরেও তাঁকে দল বহিষ্কৃত করে। বৈশালী আমাদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই কথা জানিয়েছেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এক কি করবেন, তাঁকে হাওড়া জেলার দলের নেতৃত্বরা কখনই মানতো না, গুরুত্ব দিত না। শেষমেশ দলটা উইপোকাজাতীয় নেতৃত্বরা শেষ করে দিচ্ছে।মমতা ব্যানার্জি অনেক চেষ্টা করে, অনেক স্বপ্ন নিয়ে এই দলটা তৈরি করেছিলেন কিন্তু আর সেই স্বপ্নের শেষরক্ষা হবে না।
তিনি তাঁর প্রতিবাদের কথা সাম্প্রতিক একটা বই প্রকাশের মাধ্যমে মানুষের হাতে তুলে দেন। তাতে ২০১৬ সাল থে ২০২১ সাল পর্যন্ত তাঁর সাথে কত কি ঘটেছে বালি বিধানসভায় এবং সাথে দেওয়া আছে এত বিরোধিতার মধ্যে দিয়ে নিজের উদ্যোগে তিনি কিভাবে মানুষের পাশে উন্নয়ন নিয়ে পাশে ছিলেন।
২০১৬ সাল আর ২০২১ সাল সবটাই এক আছে কিন্তু বৈশালীর দলের রঙটা বদলে গেছে। বৈশালী যে দলে যাবে সেই দলের সম্পদ হয়ে থাকবে কারণ তাঁর সারল্য ও মানুষের জন্য সেবা করার ব্যাকুলতা।
একটা কথা সকলকে মানতে হবে বৈশালী ডালমিয়াকে কোন দল করে কামাতে হয় না। তাঁর পারিবারিক সূত্রে যে অর্থ আছে তা দিয়ে তিনি নির্দিধায় উন্নয়ন করতে পারেন। যদি তাই করেন তাতে সেই অর্থে কোন ঘটতি পরবে না। তাঁর প্রয়াত বাবা সকলের কাছে জনপ্রিয় ও পরিচিত, সেই বিখ্যাত মানুষটার নাম জগমোহন ডালমিয়া। এই মানুষটার সমাজের প্রতি প্রচুর অবদান আর তাঁকে দেখেই ছোটবেলা থেকে বড় হওয়া বৈশালী আজ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন।বৈশালীর “বৈশালী’স ডায়রি” মানুষের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। তবে তৃনমূল যতই চেষ্টা করুক মানুষের মন থেকে বৈশালীকে দূরে সরাতে পারছে না।