রাজপুর সোনারপুরের তৃনমূল পৌরপিতা গৌরহরির বিধানসভা নির্বাচনে নিষ্ক্রিয়তা দলকে পিছিয়ে দিয়েছে
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১৪ই এপ্রিল ২০২১ : সোনারপুর উত্তর বিধানসভায় ১৭টা পৌরসভার ওয়ার্ড ও ৫টা পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের সব নেতৃত্ব নির্বাচনের ময়দানে নেমেছিল।পাশাপাশি দুবারের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও সাংগঠনিক নেতৃত্ব নজরুল আলি মন্ডল প্রচারের কোন খামতি রাখে নি। কিন্তু রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩৫ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী পৌরপিতা তৃণমূলের গৌরহরি দাস এবারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারে স্বক্রিয় ছিল না। এই ওয়ার্ডে গত লোকসভা নির্বাচনে তৃনমূল পিছিয়ে ছিল। পৌরপিতা গৌরহরির নিষ্ক্রিয়তার কারণে এই ওয়ার্ডে বিজেপি বেশ শক্তিশালি হয়ে উঠেছে। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।
তবে ওয়ার্ডের বাকি তৃনমূল কর্মী ও নেতৃত্বদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চোখে পড়েছে। নির্বাচনের আগে এলাকায় এলাকায় পথসভা, বাড়ি বাড়ি প্রচার, পাড়া বৈঠক করে এলাকার তৃনমূল কংগ্রেসের যুব নেতৃত্ব ও মূল তৃণমূলের বেশ কিছু নেতৃত্ব। নির্বাচনের পর কর্মীরা ও নেতৃত্বরা বেশ আশাবাদি গত নির্বাচনের থেকে এবার তৃণমূলের ফল ভাল হবে। গৌরহরি দাস এই ওয়ার্ডের শুধু পৌরপিতা নন, তিনি এই ওয়ার্ডের বর্তমান সভাপতি।এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃনমূল ওয়ার্ডের সভাপতি ছাড়াই নির্বাচনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় এবং সকলে মিলে একসাথে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই-এর ময়দানে থেকে প্রচার চালিয়ে গেছে। আবার এই পৌরপিতা আগামী পৌর নির্বাচনে পৌরপিতার টিকিটের দাবিদার হবে। কিন্তু এবার আর মানুষ তাঁকে তৃণমূলের টিকিট দিলে মেনে নেবে না। এই ওয়ার্ডের অনুন্নয়ন ও অসহযোগিতা ওয়ার্ডের মানুষকে অতিষ্ট করে তুলেছে। ২রা মে বোঝা যাবে পৌরপিতাকে বাদ দিয়ে কতটা লড়াই করতে স্বক্ষম হয়েছে ওয়ার্ডের তৃনমূল কর্মী ও নেতৃত্বরা।তবে পৌরপিতা গৌরহরির এই নিষ্ক্রিয়তা মানুষের মনে এক অন্য প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে, তারা বলছে তবে কি পৌরপিতা বিজেপির সাথে গোপন আঁতাত করে ঘরে বসে থাকলেন?