স্বাধীনতার পর থেকে গড়িয়ার এক জ্বলন্ত সমস্যাকে সাবলীলভাবে সমাধান করলেন বিধায়ক ফিরদৌসী
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২০ : স্বাধীনতার প্রায় ৭৩ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। সোনারপুরে অনেক বিধায়ক এসে চলেও গেছেন, কিন্তু সমস্যা থেকেই গেছে। গড়িয়া স্টেশন এলাকায় পাঁচপোঁতা মেন রোডের মুখে কিশান মজদুর বাজার সরকারি জায়গা দখল করে এলাকার মানুষের জন্য শুরু হয়েছিল সেই কংগ্রেস সরকারের সময়। কিন্তু দিন যত এগিয়েছে দোকানের সংখ্যা তত বেড়েছে কারণ বেকার সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। দখল হতে হতে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বাজারে দোকানে ঠেলায় রাস্তা প্রায় বিলীনের পথে। এই দখলদারী ব্যবসায়ীদের দৌলতে প্রতিদিন জামজট লেগেই থাকতো। সকালে অফিসযাত্রী থেকে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য ছিল এক দৈনন্দিনের এক জ্বলন্ত সমস্যা। এর মাঝে কিছু ফোঁড়ে নেতার দৌলতে দোকানের সংখ্যা আরও বেড়ে গিয়েছে যারা রাস্তায় নেমে এসেছিল।
প্রকল্প বহুদিনের হলেও এই লকডাউন পরিস্থিতিতে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম দফায় দফায় ব্যবসায়ীদের বিরধীতার মোকাবিলা করে আলোচনার মাধ্যমে সেই সমস্যাকে সমাধান করেছেন।বৃহতর মানুষের স্বার্থে কিশান মজদুর বাজার ভেঙে ছোট করে রাস্তার দৈর্ঘতা বেড়েছে। একসময়ের বাসরুটের স্বপ্ন হয়তো সফল হতে চলেছে। এই রাস্তায় বাস চলতেও দেখা যাবে। কমবে অটোর দৌরাত্ব। সন্ধ্যার পর থেকে অটোচালকদের দৌরাত্ব এবার কিছুটা কমবে কারণ মানুষকে আর অটো মুখাপেক্ষি হয়ে থাকতে হবে না।
এই রাস্তার ব্যাপারে বিধায়ক ফিরদৌসী জানান, গঙ্গাজোয়ারা ব্রিজ থেকে গড়িয়া স্টেশন পর্যন্ত রাস্তার দুদিকে দখল করে থাকা দোকান মানুষের স্বার্থে ছোট করে দেওয়া হয়েছে। কোন ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করা হয় নি। তাঁদের দফায় দফায় আলোচনার মাধ্যমে বোঝাতে হয়েছে। এই রাস্তার জন্য ১৩ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। ১২০০ মিটার ফুটপাথ হবে সাথে হবে সৌন্দর্যায়ন।রাস্তায় ম্যাস্ট্রিক্সের কাজ হবে। এই রাস্তার কাজ শেষ হলে দঃ ২৪ পরগণার বিভিন্ন জায়গার সাথে কলকাতার দুরত্ব অনেক কমে যাবে।