ওয়েবেল-ফুজিসফ্ট-ভারা সেন্টার অব এক্সিলেন্স (CoE) পরিদর্শনে ভুটানের প্রথম স্টার্ট-আপ শীর্ষ সম্মেলনে পুরস্কার বিজয়ী ও পূর্ব ভারতের CII-এর সদস্যদের প্রতিনিধি দল
নিজস্ব প্রতিনিধি, তকমা নিউজ, কলকাতা, ১২ই মে ২০২৩ : ভারত ও ভুটান, এই দুই দেশের স্টার্ট-আপ বাস্তুতন্ত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন চিহ্নিত করে সম্প্রতি এক প্রতিনিধি দল ওয়েবেল-ফুজিসফ্ট-ভারা সেন্টার অব এক্সিলেন্স: ইন্ডাস্ট্রি 4.0 পরিদর্শনে এসেছিল। এই দলে ছিলেন প্রথম ভুটান স্টার্ট-আপ শীর্ষ সম্মেলনে পুরস্কার বিজয়ীরা এবং সেই সঙ্গে পূর্ব ভারতের CII-এর সদস্যরা। ভুটান স্টার্ট-আপগুলির জন্য কী-কী প্রয়োজন তা বোঝার জন্য এবং বিভিন্ন স্তরে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য এই দল এসেছিল। বিভিন্ন ভাবে যুক্ত হওয়া বলতে, স্টার্ট-আপগুলির নতুন প্রোডাক্ট ডিজাইনগুলি জন্য 3ডি উৎপাদন বিষয়ক সমাধান প্রদান করা (তাদের প্যাকেজিং সমাধানগুলির গণ হারে উৎপাদনের ডিজাইন) থেকে শুরু করে তাদের বিপণন ও বিক্রয় বিষয়ক কর্মকাণ্ডের জন্য সুনির্দিষ্ট ভাবে ডেটা বিশ্লেষণ সমাধান প্রদান করা পর্যন্ত নানা বিষয়। এই পরিদর্শনের ফলে ভারতে ভুটানের স্টার্ট-আপগুলিকে একটি এক্সপোজার ও ওরিয়েন্টেশন দেওয়া সম্ভব হয়েছে, সেই সঙ্গে একটি বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য একটি মঞ্চ তৈরি করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বিষয়টি হল, CoE-র সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগের সম্ভাবনা, বিশেষ করে পড়ুয়া, পেশাদার কর্মী, ও ভুটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্যদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রটির সঙ্গে যুক্ত হওয়া।
ভারতে স্টার্ট-আপগুলিকে প্রকৃত অর্থে উদ্ভাবনী তালুক করে তোলার জন্য CoE-র কাছে বহুবিধ প্রযুক্তির সর্বোত্তম শ্রেণির পরিকাঠামো রয়েছে। যেমন, সবচেয়ে নতুন হার্ডওয়্যার, সফ্টওয়্যার, প্রশিক্ষণ মডিউল, সর্বোত্তম শ্রেণির ফ্যাকাল্টি সদস্য, শিল্প মহলের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতা, হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, এবং অর্থায়নের সুযোগ। আমরা যাতে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়সূচি প্রদান করতে পারি, তা নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যায়তনিক ও কর্পোরেট, এই উভয় ক্ষেত্রের নিরিখে CoE সর্বোত্তম প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে। এর শিক্ষণ পদ্ধতিতত্ত্বগুলি এমন ভাবে তৈরি, যাতে এগুলির সাহায্যে অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষা লাভ করা যেতে পারে। 70 শতাংশ প্রশিক্ষণই হাতে-কলমে দেওয়া হয় এবং সেই সঙ্গে ব্যবসার প্রকৃত সমস্যা সমাধান নিয়ে কাজ করতে দেওয়া হয় এবং তার সমাধান বের করতে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত ও ভুটান, এই দুই দেশের সরকার পারস্পরিক ভাবে সুযোগ-সুবিধা লাভ করার জন্য এই দুই দেশের স্টার্ট-আপ বাস্তুতন্ত্রকে যুক্ত করার জন্য কাজ করে চলেছে। DPIIT, স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া, ও CII থিম্পুতে 29 ফেব্রুয়ারি 2020-তে প্রথম বার ভুটান স্টার্ট-আপ সামিট আয়োজন করেছিল। যা আয়োজিত হয়েছিল থিম্পুতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের অংশীদারিত্বে। সেই সময় উচ্চস্তরীয় ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভারত সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প, উপভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও গণবণ্টন ও বস্ত্রশিল্প বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়াল। তিনিই উক্ত শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম সংস্করণটির উদ্বোধন করেছিলেন।
কলকাতায় CoE-র অত্যাধুনিক একটি ফেসিলিটি রয়েছে। যা গড়ে তুলেছে ফুজিসফ্ট ভারা প্রাইভেট লিমিটেড। যা জাপানের ফুজিসফ্ট ইনকর্পোরেশন ও ভারতের ভারা টেকনোলজির একটি যৌথ উদ্যোগ। এটি ভারতের এমন এক অন্যতম মঞ্চ, যেখানে ইন্ডাস্ট্রি 4.0-র প্রযুক্তিগুলির সম্পূর্ণ সুযোগকে কাজে লাগানো হয়। ইন্ডাস্ট্রি 4.0 বলতে বোঝায় এক ছাতার নীচে ডেটা সায়েন্স, সাইবার সুরক্ষা, এম্বেডেড সিস্টেম/তথ্য ও প্রযুক্তি, এবং অ্যাডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিং ইত্যাদি সমস্ত কিছু। এই সংস্থা পরিকাঠামো, হার্ডওয়্যার, সফ্টওয়্যার এবং সেই সঙ্গে বিদ্যায়তনিক সহায়তা ও সার্টিফিকেশন প্রদান করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এই যৌথ উদ্যোগের কয়েকটি কোম্পানি হল ইন্টেল, এনভিইন্ডিয়া, ডাসো সিস্টেমেস, স্ট্র্যাটাসিস, ট্রেন্ড মাইক্রো, ফ্রন্টিয়ার, আইএমআই ইজরায়েল, থিঙ্ক সাইবার, ইজরায়েল, বস্টন ট্রেনিং অ্যাকাডেমি ও বস্টন আইটি সলিউশন্স ইত্যাদি।