রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে অশোকা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখতে বাধ সাধছেন বাস্তুকার
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ৪ঠা জুলাই ২০২০ : রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা অশোকা মৃধা দুবারের নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়ার ফলে ওয়ার্ডের সকলের উন্নয়নের একটা বাড়তি দাবি থেকেই যায়। অশোকা সকাল হতেই নিজের ওয়ার্ডের সর্বত্র পরিক্রমা করে দেখেন কোথায় মানুষের কি সমস্যা আছে। সেইমত তিনি পৌরসভার বোর্ড মিটিং-এ সেই দাবিগুলো নিয়ে সরব হন। কিন্তু এখন তো রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সেই উন্নয়ন বর্তমানে প্রশাসকের হাতে। অশোকা সেইমত সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ও প্রাক্তন সি আই সি বর্তমানে প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য নজরুল আলি মন্ডলের সহযোগিতায় উন্নয়ন করে চলেছেন।ইতিমধ্যে আনলকের মধ্যে অশোকা কাজ শুরু করে দিয়েছেন।ছয়ানি চর এলাকায় ঢালাই রাস্তার কাজ চলছে। এছাড়া ওয়ার্ডের কিছু অব্যবহৃত ফান্ড দিয়ে শিবতলা এলাকায় একটা ড্রেন সহ রাস্তার কাজের পরিকল্পনা করে রেখেছেন। আনলকের কারণে বহু কাজ করা যায় নি, এবার আনলক হতেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন।অশোকা বলেন, শিবতলার এই এলাকায় মানুষ খুব কষ্টে আছে। বর্ষায় জলমগ্ন হয়ে যায়।
কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাধ সাজছেন পৌরসভার বাস্তুকার। এই ওয়ার্ডে পৌরসভার বাস্তুকার খালের রাস্তার কাজ শুরু করার পরিকল্পনা নিতে চলেছিলেন কিন্তু সে ব্যাপারে কোনরকম সংযোগ করেন নি পৌরমাতার সাথে বলে অভিযোগ। অশোকা মৃধা এব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি সাফ জানান, প্রশাসক মেয়াদে কাজ করবো আমার মর্জিতে, এখন কেউ আর পূর প্রতিনিধি নেই যে তাঁকে কাজের ব্যাপারে জানাতে হবে।যদি কাউকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেন জানাতেই পারেন, এমনটাই অভিযোগ করেন অশোকা মৃধা।এব্যাপারে অশোকা মৃধা বলেন, মমতা ব্যানার্জি সব কাউন্সিলারকে ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটার করেছে যাতে উন্নয়ন মানুষের প্রয়োজন মত পৌঁছায়।কিন্তু এভাবে কাজ হলে আমদের বিভ্রান্তি হচ্ছে।এব্যাপারে আমি প্রশাসক ডাঃ পল্লব দাস ও প্রশাসকমণ্ডলী সদস্য নজরুল আলি মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করলে ডাঃ পল্লব দাস বলেন কোন ওয়ার্ডে উন্নয়ন হলে সেই ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটারের সাথে যোগাযোগ করেই করতে বলা হয়েছে।একই কথা বলেন ইক্সিকিউটিভ অফিসার।এরপর সেই কাজ বর্তমানে বন্ধ করা হয়েছে যতক্ষন না কাজের ব্যাপারে ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটার অশোকা মৃধার সাথে সংযোগ স্থাপন করছেন।তবে অশোকা জানান, বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও নজরুল আলি মন্ডল থাকতে কাজ বন্ধ হবে না, তাঁদের সহযোগিতায় খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।
তবে কোন অধিকারে বাস্তুকার বলেন তিনি নিজের মর্জিতে কাজ করবেন? কাউকে এব্যাপারে কিছু জানাবেন না, কোন সংযোগ রাখবেন না।ওয়ার্ডে উন্নয়ন হবে আর ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটার কিছু জানবে না তা হয় না। এর থেকেই পরিস্কার যে বাস্তুকার চক্রান্ত করে উন্নয়নকে নিয়ে মানুষের কাছে অন্য বার্তা পৌঁছাতে চাইছে। তবে কি বাস্তুকার বিজেপির মদতে এই ওয়ার্ডে চক্রান্ত করছেন? অনেকের মনে এই প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।