রাজনীতি

রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা বিভাস মুখার্জির জনপ্রিয়তা কি তবে কমছে? কেন?

অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা, সোনারপুর উত্তর, ১৮ই এপ্রিল ২০২২ : তিনবারের জয়ী পৌরপিতা বিভাস মুখার্জি (মনু) যার মধ্যে দুবার তিনি সি আই সি ছিলেন। কিন্তু এবার তৃনমূলের সব পৌরসভার প্রার্থী তালিকা থেকে নাম বাদ পড়েছিল কিন্তু শেষমুহুর্তে কোন এক সূত্র ধরে নিজেই তার নাম ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু ওয়ার্ডে এই মুহুর্তে কোন পুরাতন কর্মী বা নেতৃত্বের অধিকাংশ তার সান্নিধ্য ত্যাগ করেছে বলেই শোনা যাচ্ছে। এবার তিনি আর সি আই সি নন, কিন্তু কেন? কেন তার সাথে উচ্চ নেতৃত্বের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বর্তমানে তিনি শুধু একজন পৌরপিতা ও গড়িয়া টাউন তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি।

এর আগেরবার তিনি যখন পূর্ত দপ্তরের সি আই সি ছিলেন তখন রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার অধিকাংশ পৌর প্রতিনিধির ক্ষোভ ছিল একটাই কারণে যে তিনি পূর্ত দপ্তরের বরাদ্দ অধিকাংশ অর্থ নিয়ে গিয়ে তার নিজের ওয়ার্ডের উন্নয়ন করছেন বাকি ওয়ার্ডে ছিটে ফোঁটা বরাদ্দ দিচ্ছেন। তবে কি সেই কারণেই এবার তাকে বাদ পড়তে হল? নাকি এর পিছনে নেতৃত্বের সাথে দূরত্ব একটা বড় কারণ ছিল? তবে তাকে বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের অধিকাংশ অনুষ্ঠানে দেখা যেত না বলেও শোনা যাচ্ছিল। একসময় এমনও শোনা যাচ্ছিল তিনি তৎকালীন রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা সরকার ও তার ভাই সঞ্জীব সরকার ঘনিষ্ট হিসাবে পরিচিত ছিলেন।

আবার গড়িয়া অঞ্চলে একজন টাউন সভাপতি হিসাবে কোন তেমন দলীয় কর্মসূচী ছিল বলেও এলাকার বেশ কিছু নেতৃত্বের ক্ষোভ ছিল এবং এখনও আছে, কারণ হিসাবে তাদের বক্তব্য কারও সাথে তার সুসম্পর্ক নেই। শুধু নিজেরটা তিনি নাকি ভাল বোঝেন বাকি কারও কথা খেয়াল রাখেন না। ওয়ার্ডে তার ঘনিষ্ট বলেও যারা পরিচিত ছিল তাদের অধিকাংশ আজ আর তার সাথে নেই। তাদের একটা বড় অংশ তৃনমূল করলেও বিভাস মুখার্জি বিরোধী বলেই পরিচিত হয়ে উঠেছে। এমনকি গত পৌর নির্বাচনেও তার সাথে যারা ছিল আজ তাদের মধ্যেও অধিকাংশ বিভিন্ন ওয়ার্ডের তৃনমূল সংগঠনের যাথে যুক্ত হয়ে পড়েছে। এটা কিন্তু খুব একটা ভাল লক্ষণ নয় বলেই ভাবছে এলাকার তৃনমূল নেতৃত্বরা। বিগতদিনে বিভাস মুখের্জিকে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংগঠনিক কর্মসূচীতে দেখা যেত যা এখন আর দেখা যায় না। সেইসময় নিজে উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচী করতেন যা এখন আর করেন না। তবে কি এর পিছনে অন্য কোন কারণ আছে? দলের কিছু নেতৃত্বের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হয়েই কি এই পদক্ষেপ? তা না হয় হল কিন্তু কি কারণে স্থানীয় উচ্চ নেতৃত্বের সাথে দুরত্ব তৈরি হল? এর কোন উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে বাদ দিয়ে আজ অনেকে উচ্চ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন, তাদের সম্মাননা জানাচ্ছেন, তাকে বাদ দিয়ে এলাকার নেতৃত্ব ও কর্মীরা বিভিন্ন দলীয় অনুষ্ঠান বা সামাজিক অনুষ্ঠান করছেন। তবে কি এবার তিনি টাউন সভাপতি পদ থেকেও সরে যাচ্ছেন? এটাই কি তার ইঙ্গিত?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *