২০১৯ সালে “জিও জামাই” ছবি মুক্তি, ২০২০ সালে পরপর তিনটে ছবি মুক্তির পথে নির্দেশক নেহাল দত্ত-র, অকাল বোধনের শুটিং চলছে “ছদ্মবেশী”
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২২শে অক্টোবর ২০১৯ : নেহাল দত্ত এক জনপ্রিয় ও প্রতিষ্ঠিত নির্দেশক যিনি দীর্ঘদিন তরুণ মজুমদারের সাথে কাজ করেছেন আজও যার মধ্যে সেই ছায়া দেখা যায় বলে মনে করেন দর্শকেরা। সেই নেহাল দত্ত নির্দেশিত “জিও জামাই” মুক্তি পাচ্ছে ডিসেম্বর মাসে।২০২০ সালের প্রথম দিকেই মুক্তির অপেক্ষায় আছে “অপরাজেয়”, মাঝামাঝি মুক্তি পাচ্ছে “বাঘিনী” যা অনেকদিন ধরে বিজেপি ও সিপিএমের চক্রান্তে ইলেকশন কমিশন আঁটকে দিয়েছিল। অবশেষে তা এবার মুক্তির পথে। ২০২০ সালের পুজোর সময় মুক্তি পাওয়ার আশায় “ছদ্মবেশী”। আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম নেহাল দত্ত-র “ছদ্মবেশী”-র সেটে, ছবি নিয়ে কথা হল নেহাল দত্ত, হিরণ চ্যাটার্জি, সুমিত গাঙ্গুলি, শুভম ও সর্মিষ্ঠা আচার্য্যের সাথে।ছবি নিয়ে নির্দেশক নেহাল দত্ত জানান, বহুদিন পর এরকম একটা বাংলা ছবি করলাম যেখানে টলিউডের সব বক্স অভিনেতা-অভিনেত্রীরা রয়েছে। এই ছবিতে অভিনয় করেছে হিরণ, সর্মিষ্ঠা আচার্জি, শুভম, পায়েল সরকার, কাঞ্চন মল্লিক, লিলি চক্রবর্তী, লাবনী সরকার, বিশ্বজিত চক্রবর্তী, সুমিত গাঙ্গুলি, রজতাভ দত্ত, সুপ্রিয় দত্ত, ফাল্গুনি চ্যাটার্জি সহ জুনিয়র শিল্পীদের মধ্যে পূর্বাশা দেবনাথ সহ অনেকে।এই ছবিটা একটা যৌথ পরিবারের গল্প, একটা মিষ্টি ভাল লাগার গল্প, এটা যে একটা প্রেমের গল্প তা কিন্তু নয়। বাঙ্গালি দর্শকের জন্য, বাংলা ভাষার জন্য এই ছবিটা সবাই উপভোগ করবে। এটা শুধু বাংলা ছবি নয় সারা ভারতে এই ছবিটা দর্শকরা বেশ আনন্দ পাবে।এরকম ছবি বাংলা দর্শকেরা চায়।শুভম অসম্ভব চেষ্টা করেছে, হিরণের সাথে আগেও অনেক কাজ করেছি, হিরণ সেটে যথেষ্ট সহযোগিতা করে। পায়েলের সাথে যদিও প্রথম কাজ তবে আমরা বহুদিনের বন্ধু। আমি দুই প্রযোজক সেলিম ও সন্টুর কাছে কৃতজ্ঞ আমার এই গল্প শুনে দুজনেই রাজি হয়েছে ছবিটা করতে। তবে সুমিত গাঙ্গুলিকে বাঙালি দর্শক যেভাবে দেখে অভ্যস্থ সেরকম চরিত্রে দেখবে না, সুমিত গাঙ্গুলি “অপরাজেয়” ছবিতেও অন্যরকম চরিত্রে দেখতে পাবে।সব থেকে বড় হল সুমিত গাঙ্গুলি দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় করেছে কিন্তু এই ছবিতে সুমিত গাঙ্গুলি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করেছে।
ছবির প্রথম নায়ক হিরণ বলেন, আমার চরিত্রের নাম সতীষ। ছবিতে দুটো বন্ধু অমল ও সতীষ। অমল একজন সাদাসিধে গ্রামের ডাক্তার। কিন্তু অমল গ্রামে একটা ভীষণ বিপদে পড়লে সতীষ ও তার স্ত্রী ললিতা (সর্মিষ্ঠা) কলকাতা থেকে সেখানে গিয়ে তার বন্ধু অমলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবে।নেহালদা পরিচালিত “জিও জামাই” ছবিতে আমি অভিনয় করেছি যা মুক্তি পেতে চলেছে ডিসেম্বর মাসে। এই ছবিতেও নতুন নায়িকা ঈশানী অভিনয় করেছে। নতুন নায়িকাদের সাথে অভিনয় করতে বেশ ভাল লাগছে। সর্মিষ্ঠা বলেন, আমি খুবই গর্বিত যে এই ছবিতে এরকম একটা চরিত্রে আমায় সুযোগ করে দিয়েছে নেহালদা। নেহালদার সাথে আমার পরিচয় হওয়াটা ভীষণ অদ্ভুত ছিল। আমি একটা কফি শপে দেখা করতে যাই, আর সেখানেই নেহালদার সাথে পরিচয়। আর সেই পরিচয় থেকে আজ এই ছবিতে অভিনয় করা।
সুমিত গাঙ্গুলি বলেন, নেহাল এভাবেই বলে থাকে। অনেকে বলে আমরা স্বামী-স্ত্রী।অনেকে ভাবে এবার বোধহয় দুজনের মধ্যে মারামারি হয়ে যাবে কিন্তু আসলে তা নয়। আর কাজ করতে গেলে একটু রাগারাগি হয়ে থাকে। আসলে আমি দীর্ঘদিন অভিনয় করেছি, কোনদিন আমি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে আমার দ্বিতীয় কাজ।এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে আমার প্রথম ছবি “আমার চ্যালেঞ্জ” যেখানে নিজেকে সামলে রেখেছিলাম কিন্তু এই ছবিতে অনেক ঝামেলা আসাতে এবার নিজেকে সামলে নিতে পারি নি। এই ছবিতে একটা যৌথ পরিবার ঘিরে।বিভিন্ন ঘটনা ঘটে আর সেখান থেকে দুই বন্ধুর মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি থেকে আবার সেই পরিস্থিত থেকে ঠিক বোঝাবুঝি হয়। এই ছবিতে আমি বেশ গুরুগম্ভীর কমেডি চরিত্রে অভিনয় করছি। নেহাল আমাকে দিয়ে ভিভিন্ন শেডের চরিত্রে অভিনয় করাচ্ছে। বেশ ভাল লাগছে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে। সকলের নির্দেশনায় অভিনয় করতে ভাল লাগে না কিন্তু নেহালের নির্দেশনায় ভাল লাগে।
ছবিতে ৫টা গান আছে যা গেয়েছে শান্তনু, অনুপম, অন্বেষা, রায়েন ও শির্ষা।ছবিতে পঙ্কজ করিওগ্রাফ করছে এবং নেহাল দত্ত-র পরপর ৫টা ছবিতে ডি ও পি করছে ঈশ্বর যিনি দীর্ঘদিন মুম্বাই ছবিতে কাজ করেছে। শুটিং হয়েছে কলকাতা, ঝাড়্গ্রাম ও ওড়িশ্যায়।