“বিতানের প্রথম উপন্যাসিকা, “হাতকাটা”, মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্ত যুবার দৈনন্দিনতার প্রতিফলন উন্মোচিত
বিশেষ প্রতিনিধি, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ : “বিতানের জীবনদৃষ্টি প্রত্যক্ষ। পরের মুখে ঝাল খাওয়া গপ্পো সে লেখে না। তার গল্প পড়া মানেই নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়া, যা ভালো-মন্দের ঊর্ধ্বে।”— বিভাস রায়চৌধুরী। মলাটের জগন্নাথ প্রতীকী। রং আর তুলিতে উন্মোচিত শিল্পীর এক অসামান্য শিল্পকর্ম। বাঙালির জগন্নাথ দেবালয়ের বিগ্রহ-মাত্র নয়, জগতের নাথ-মাত্র নয়, খণ্ডিত অঙ্গে তিনি আবহমানকাল ঠুঁটো। বিতান চক্রবর্তীর ষষ্ঠ গ্রন্থ, যা একাধারে লেখকের প্রথম উপন্যাসিকা, “হাতকাটা”, মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্ত যুবার দৈনন্দিনতার প্রতিফলন। কাহিনির দুই মুখ্য চরিত্র—কনক এবং শুভ। প্রথমজন কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও ইচ্ছে পূরণে অসফল; অপরজন অল্প-শিক্ষিত হওয়ার কারণে অনভিজ্ঞ ও শহর কলকাতায় মাথা গোঁজার সামান্য আয়োজন সুনিশ্চিত করতে অসমর্থ। যোগ্যতার অভাব নয়—সাধ ও সাধ্য, বাস্তবতা ও কর্মসংস্থানগত পরিকাঠামো… এমন বিবিধ সামাজিক চিহ্নগুলোর পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় বিধ্বস্ত, অসহায় ও দিগ্-ভ্রান্ত যুবসমাজের চলমান কাহিনি “হাতকাটা”।
প্রথম বই “অভিনেতার জার্নাল” হলেও সম্যক পরিচিতি এসেছে প্রথম ছোটগল্প সংকলন, “শান্তিরামের চা”-এ। পরবর্তী বই “শরণার্থী” হলেও বাংলা কথাসাহিত্যে সফিসটিকেশন স্পর্শ করলেন দ্বিতীয় ছোটগল্প সংকলন “চিহ্ন”-এ। বইদুটি আলোচিত হল কলকাতা, উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি, শিলং এমনকী মুম্বাইতেও। ইতমধ্যে অনুবাদ করেছেন স্বনামধন্য ইংরেজি কবি সঞ্জীব শেঠি-র একগুচ্ছ ইংরেজি কবিতা; প্রকাশিত হয়েছে ওঁর অনূদিত কবিতাপুস্তিকা, “বৃষ্টিসহায়”। “হাতকাটা” বিতান চক্রবর্তীর ষষ্ঠ গ্রন্থ।৮৮ পৃষ্ঠার গ্রন্থ: হাতকাটা যার লেখক বিতান চক্রবর্তী, প্রকাশক: শাম্ভবী ও প্রচ্ছদ: তমোজিৎ ভট্টাচার্য । প্রচারে : Pinnacle Communiq