প্রথম পাতা

রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতার বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ জমা পড়ল পৌরসভায়

অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা নিউজ, সোনারপুর, ৩০শে নভেম্বর ২০২২ : রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড নিয়ে যেমন বেশ উদ্বেগে আছে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার নেতৃত্ব তেমনিই রাজপুর সোনারপুর সহ এই ওয়ার্ডের কর্মীরা। কারও সাথে সহযোগিতা করছে না এই ওয়ার্ডের পৌরপিতা বিভাস মুখার্জি (মনু) বলে অভিযোগ তুলছে এলাকার মানুষ তথা স্থানীয় নেতৃত্বরা। ওয়ার্ডের কোন কর্মী ও নেতৃত্বের সাথে কোনরকম জনসংযোগ রাখছেন না এই পৌরপিতা বলেও অভিযোগ উঠছে। এমনকি তিনি যে গড়িয়া টাউন তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতির পদ আগলে রেখেছেন সেখানেও একই চেহারা। টাউন তৃণমূল সভাপতির উদ্যোগে দলীয় কোন কর্মসূচী নেওয়া হচ্ছে না বলে ক্ষোভে রয়েছে টাউনের নেতৃত্বরা। শেষমেশ টাউন সভাপতিকে বাদ রেখেই পুজোর পর বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়।

কয়েক সপ্তাহ আগে এই বিভাস মুখার্জির ঘনিষ্ঠ রাজিয়া বেগম প্রতিবেশী ও পুলিশকে কোপ দিয়ে জেলে যায়। এই রাজিয়া বিভাস মুখার্জিকে ভাইফোঁটা দেয় আর তাই তার এই বাড়বাড়ন্ত। এই রাজিয়া বেগম একসময় সিপিএম করেছে আর এখন বিভাস মুখার্জিকে ধরে ওয়ার্ডে বড় তৃণমূল মহিলা নেত্রী হয়েছেন। গোটা ওয়ার্ডে একপ্রকার তান্ডব চালাচ্ছেন বিভাস মুখার্জির ছত্রছায়ায় থেকে। এবার আরেক মহিলা নেত্রী সামনে চলে এসেছে। বিভাস মুখার্জি একই মহিলাকে একাধিক লাভজনক পদ দিয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ জমা হয়েছে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার পৌর প্রধানের কাছে। গড়িয়া নবগ্রামের মিডিল ব্লকের বাসিন্দা রিয়া হালদার (মন্ডল) যার স্বামী বিদেশ মন্ডল মোট ৮ অথবা তার বেশি লাভজনক পদ দিয়েছে বলে ওয়ার্ডের বাসিন্দারা অভিযোগ জমা দেয়। তারা এমনও বলে ওয়ার্ডের অনেক অসহায় মানুষ ও আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবার আছে যাদের এই পদ পেলে অনেক সুবিধা হয়, কিন্তু বিভাস মুখার্জি কিসের স্বার্থে এই এক ব্যক্তিকে এতগুলো পদ দিয়েছে সবটাই অজানা। রিয়া হালদারকে যে সব পদ দেওয়া হয়েছে তার তালিকার মধ্যে রয়েছে ১) বিএলও ২) মাস ৩) আর ও ৪) এ এল এফ সদস্য ৫) পোলিও কর্মী ৬) ডেঙ্গু সুপারভাইজার ৭) এইচ এইচ ডাবলু ৮) গৃহ সমীক্ষা। এছাড়া পৌরসভার তরফ থেকে কোন কাজ এলেই এই রিয়া হালদারকে নিযুক্ত করা হয় বলেও অভিযোগ তোলেন আবেদনকারীরা। গণস্বাক্ষর সহ চিঠিতে পৌর প্রধানকে তদন্ত করে অবিলম্বে এই রিয়া হালদারকে অপসারণ করে প্রয়োজন আছে এমন ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন করা হয়। একই অভিযোগ তারা স্থানীয় বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমকেও জমা দেয় বলে জানা যায়। এই ব্যাপারে প্রায় ৪০০ জন গণস্বাক্ষর করে বলে জানা যায়। আমরা সেই আবেদনের ছবি এখানে দিলাম যাতে উচ্চ নেতৃত্বের চোখে পড়ে। এভাবে ওয়ার্ডের কর্মীদের বঞ্চিত করাকে কেউ মেনে নিতে পারছে না। এই রিয়া হালদার এতদিন বিভাস মুখার্জিকে কাকু সম্বোধন করতো কিন্তু হঠাৎ এবছর সেই কাকুকে ভাইফোঁটা দিয়ে একেবারে কব্জা করে ফেলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *