প্রথম পাতা

লকডাউনে শিশুদের পাশে দাঁড়ালো তৃণমূলের গড়িয়া জয়হিন্দ বাহিনী

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২৫শে এপ্রিল ২০২০ : বিশ্বে করোনা জীবানুতে অসংখ্য মানুষ দিশাহারা হয়ে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এই মুহুর্তে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৯,৭১,৫৩৩ জন এবং মারা গেছেন ২,০৫,৯২৯ মানুষ।মৃতের প্রথম তালিকায় রয়েছে আমেরিকা ৫৪,৯৪১, ইতালি ২৬,৬৪৪, স্পেন ২৩,১৯০, ফ্রান্স ২২,৮৫৬, ইংল্যান্ড ২০,৭৩২, অনেক পিছনে আছে বেলজিয়াম ৭০৯৪, জার্মানি ৫৮৮৪, ইরান ৫৭১০, চীন ৪৬৩২, নেদারল্যান্ড ৪৪৭৫ কিন্তু ভারতের ১ কোটি ৩০ লাখের দেশ হয়েও আক্রান্তের সংখ্যা ২৬,৯১৭ আর মৃতের সংখ্যা ৮২৬। এটা অনেকেই মানতে রাজি নয়। কিন্তু ভারতে মোট আক্রান্ত প্রায় ২৭০০০ সেখানে পশ্চিমবঙ্গের আক্রান্তের সংখ্যা ৬১১ আর মহারাষ্ট্রের আক্রান্ত ৭৬২৮, গুজরাত ৩০৭১, দিল্লি ২৬২৫, রাজস্থান ২০৮৩, মধ্যপ্রদেশ ২০৯৬, তামিলনাডু ১৮২১, উত্তরপ্রদেশ ১৯৭৩, অন্ধ্রপ্রদেশ ১০৬১।

এমন অবস্থায় সারা দেশ লকডাউনের আওতায় থাকার ফলে মানুষের রুজি রোজগার মাথায় উঠেছে। মানুষ গৃহবন্দি থাকার ফলে বহু পরিবারের ঘরে খাদ্য নিয়ে দেখা দিয়েছে আশঙ্কা। আর এই আশঙ্কায় সারা রাজ্যে মানুষকে খাদ্য তুলে দিতে সব ধরনের সহযোগিতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সহ তাঁর গোটা দল। সারা বিশ্বে প্রচুর শিশু অনাথ হতে চলেছে, অনেকে হয়েও গেছে। সকলে দুঃস্থ পরিবারদের কথা চিন্তা করে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছে। এটা ভাল কাজ কিন্তু শিশুরা কি করবে, সেটা কি একবার ভেবেছেন। তাদের স্কুল যাওয়া বন্ধ, রাস্তায় যাওয়া বন্ধ, খেলা বন্ধ, মাঠে যাওয়া বন্ধ। নিজেদের বাঁচাতে আসলে তারাই প্রকৃত গৃহবন্দি। তৃণমূল দোলের শাখা সংগঠন জয়হিন্দ বাহিনীর দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সভাপতি পল্লব কান্তি ঘোষের সহযোগিতায় সাম্প্রতিক গড়িয়া জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি অরিন্দম দত্ত রাজপুর সোনারপুরের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে শিশুদের দুধের প্যাকেট, কেক, ফল, বিস্কুটের প্যাকেট ও চকলেট তুলে দিলেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পল্লব কান্তি ঘোষ, সোনারপুর উত্তর বিধানসভার যুব তৃণমূল সভাপতি পাপাই দত্ত, অরিন্দম দত্ত, সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর আপ্ত সহায়ক অনির্বান ভট্টাচার্য সহ অনেকে। এই তিনটে ওয়ার্ডে তাঁরা প্রায় ৪০০ শিশুকে এই খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়।

এই অনুষ্ঠান নিয়ে অরিন্দম জানান, শিশুদের অবস্থা সবথেকে করুণ। তারা তো বুঝতেও পারছে না কেন স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। তারা টিভিতে বা বাড়িতে শুনছে এই করোনার কথা। করোনা নিয়ে তাদের মধ্যে একটা বিকৃত ধারণা তৈরি হয়েছে। পল্লব কান্তি ঘোষ জানান, আমরা মানুষের কথা চিন্তা করে তাদের জন্য চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ দিচ্ছি ঠিকই কিন্তু শিশুদের কথাও চিন্তা করা উচিত।আমিও বহু পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছি, এমনকি ওষুধ সরবরাহ করেও সাহায্য করেছি আবার আমার অফিসের সামনে থেকে শিশুদের কথা মাথায় নিয়ে তাদের জন্য ফল, চকলেট, বিস্কুট ও দুধ সরবরাহ করার ব্যবস্থাও করেছি। এছাড়া রাজপুর সোনারপুর সহ জেলার বহু জায়গায় শিশুদের জন্য এই ধরনের কর্মসূচী গ্রহণ করেছি।

অনির্বান ভট্টাচার্য বলেন, সাংসদ মিমি চক্রবর্তী প্রতিদিন বহু পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করছেন।রাজ্যের বাইরে যারা আঁটকে গেছেন তাদের খাওয়া দাওয়া, থাকা এবং আর্থিক ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন, এমনকি এই সময় শিশু ও মাকে সুরক্ষিত রাখতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেছেন। কিন্তু জয়হিন্দ বাহিনীর আজকের এই অনুষ্ঠান সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এইডস সংক্রমনে ভুগছে এমন শিশুদের পাশে দাড়িয়েছেন কিন্তু জয়হিন্দ বাহিনী বাকি সব সুস্থ শিশুদের কথা মাথায় নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। সত্যি এই শিশুরা আজকের দিনে বড় অসহায়। বাবা-মা খাবারের চিন্তায় ডুবে আছে কারণ তাদের সব রোজগার বন্ধ, এদের কথা চিন্তা করবে কখন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *