গড়িয়ায় ৩নং ওয়ার্ডে প্রচলিত শিবের জমি বামেরা একসময় দখল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আজ কেন সেই জমিতে বাধ সাধছে বামেরাই
অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা নিউজ, সোনারপুর, ১০ই ডিসেম্বর ২০২৩ : শিবের নামে দান করা জমি ছিল গড়িয়া স্টেশন এলাকার পাঁচপোঁতা অঞ্চলে আজ রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে। শিবের নামে জমি দান থেকে এলাকার নামকরণ হয় শিবতলা। এই শিবের জমি নিয়ে একসময় এই ৩ নং ওয়ার্ডের বামেরা ২০০৯-১০ দখল করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন কারণ জমি দখল করে তাদের চিরাচরিত প্রথায় কলোনি গড়তে আর সেই সময় তৎকালীন তৃনমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা তার বিরোধিতা করেছিলেন।
![](http://takmaaa.com/wp-content/uploads/2023/12/Shibtala-6.jpg)
সেই সময় যতীন বিশ্বাসের নামে একটা মামলাও করা হয়েছিল এবং সেই মামলা আজও বিচারাধীন। যদিও আজ সেই যতীন বিশ্বাস বেঁচে নেই কিন্তু মামলা বেঁচে আছে। এবার প্রশ্ন, যদি তাদের সব নথি সঠিক থাকবে তবে সেই মামলার নিষ্পত্তি হল না কেন? এখানেই পরিস্কার যে বামেদের সেইসময় জমি দখল করে মানুষকে বিক্রি করার প্রক্রিয়া সঠিক ছিল না। সেই অর্থ রোজগারের রাস্তায় হেঁটেছে তৎকালীন বামেরা।
![](http://takmaaa.com/wp-content/uploads/2023/12/Shibtala-11.jpg)
এবার এই শিবের জমি দখল নয়, মনোরঞ্জন মণ্ডলের থেকে হস্তান্তর হতেই বিরোধিতা করতে মাঠে নেমে পেড়েন সেই বামেরা। তারা ইতিমধ্যে ওয়ার্ডের মানুষের কাছ থেকে সই সংগ্রহ করতে শুরু করে দিয়েছেন। একটা লিফলেটও মানুষের হাতে হাতে বিই করছেন যেখানে নাম দেওয়া হয়েছে বিভূতিভূষণ চন্দ, গৌতম দাস ও গনেশ নস্কর। এরা কারা? এরাই সেই সময়ে বামফ্রন্টের যতীন বিশ্বাসের সাথে ছিলেন জমি দখল করার জন্য। এই সময় তাদের সাথে ছিল পান্না মালিক, সুবল সরদার। আজ তাঁর পুত্র পরিতোষ সরদার আছে।
![](http://takmaaa.com/wp-content/uploads/2023/12/Shibtala-2-1024x576.jpg)
এই জমির পরচাতে যে নামের উল্লেখ আছে তা হল সম্প্রদায়ের পক্ষে কালিপদ নস্কর, প্রিয়নাথ নস্কর, মেনকা দাসী। এবং সেই সময় এখানে শিব মন্দির প্রতিষ্ঠানের জন্য এলাকার বহু প্রতিষ্ঠিত মানুষ উপস্থিত ছিলেন যার মধ্যে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা বিভাস মুখার্জির পিতা যুক্ত ছিলেন কারণ তিনি সেই সময় ইউনিয়ন বোর্ডের একজন সদস্য ছিলেন।
![](http://takmaaa.com/wp-content/uploads/2023/12/Shibtala-3.jpg)
তবে এব্যাপারে আমরা কথা বলেছি প্রমোটার সুরথ সরদারের সাথে, তিনি জানান জমির কাগজ দেখেই তিনি জমিটিতে কাজ করছেন। এই জমি শিবের বলে এলাকায় প্রচলিত ছিল এবং আছে কিন্তু বামেরা দাবি করে যে এই জমিটি সরকারি তথ্য অনুযায়ী সি এস পরচা এবং আর এস পরচাতে দেবত্ব সম্পত্তি হিসাবেই উল্লেখ করা আছে। এই জমিতে একসময় স্থানীয় যুবকরা খেলাধুলো করতো বলে জানা যায়। কিন্তু এল আর পরচাতে দেখা যাচ্ছে জমি মনোরঞ্জন মন্ডলের নামে আর তাই দেখেই সুরথ সরদার জমিটিতে কাজ শুরু করেছেন। বাম আমলে এধরনের জমি ক্ষমতার বলে দখল নেওয়ার জন্য বদলে দেওয়া হত জমির চরিত্র, তবে এটাও কি তারই উদাহরণ? এখন প্রশ্ন, যদি বামেদের দাবি সঠিক হবে তবে আজও সেই মামলার রায় হাতে পেল না কেন? আসলে কোথায় আছে রাজত্ব চলে গেলেও মেজাজটা আছে। তবে এই জমির ভবিষ্যৎ কি? এটা জানতে আমরাও চোখ রাখছি পরিস্থিতির উপর। আসল ঘটানার সন্ধানে কথা বলার চেষ্টা করছি স্থানীয় পৌরপিতা জয়ন্ত সেনগুপ্তের সাথে।