পার্থ বহিষ্কার হওয়ার পর প্রতিক্রীয়া “সব সময় বলবে, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার”। তবে কি বলবে সময়? কে ষড়যন্ত্র করেছে? কি বলতে পারে পার্থ?
অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা নিউজ, কলকাতা, ২৯শে জুলাই ২০২২ : আজ পার্থ চ্যাটার্জি ও অর্পিতা মুখার্জিকে রুটিন চেকআপ করতে নিয়ে আসা হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। হাসপাতালে ঢোকার মুখে পার্থ চ্যাটার্জিকে তার থেকে উদ্ধার হওয়া এই বিশাল সাম্রাজ্যের কথা জানতে চাওয়া হলে তিনি একটাই কথা বলেন “আমি ষড়যন্ত্রে শিকার”। এই মন্তব্যের পর গোটা রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। নিজের দল থেকে বিরোধী নেতারা এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে কারা আছে তাই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সকলের বক্তব্য ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশ্যে আনা প্রয়োজন। সকলে অনেকের নাম সন্দেহের তালিকায় আনছেন কিন্তু সেটা সঠিক কিনা তাই নিয়ে চলছে জল্পনা। কার দিকে ইঙ্গিত করলেন তাই নিয়ে এখন চলছে জোর জল্পনা। তবে কি আমরা কাল যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলাম তাই সঠিক। দলের অনুমতিতে কি তবে নির্বাচনের প্রার্থী তালিকার পাকা করার জন্য যে টাকা নেওয়া হয়েছিল সেদিকে পার্থ চ্যাটার্জি ইঙ্গিত করেছেন? তবে কি এই বিশাল অঙ্কের টাকা পার্থ চ্যাটার্জির নয়? তবে কি এই বিশাল পরিমানের টাকা দলের? রাখতে বলা হয়েছিল পার্থ চ্যাটার্জিকে? এরকম বিভিন্ন প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে সবার মধ্যেই। কিন্তু আসল রহস্য কোথায় তা একমাত্র বলতে পারবেন স্বয়ং পার্থ চ্যাটার্জি।
এরপর ফের একবার চেকআপের পর হাসপাতাল থেকে বেড়ানোর সময় আবার পার্থ চ্যাটার্জিকে প্রশ্ন করা হয় দল যে তাকে সব পদ ও মন্ত্রীত্ব থেকে অপসরণ করল তা নিয়ে তিনি কি বলবেন। তিনি সেই প্রশ্নের উত্তরে বলেন “সব সময় বলবে” এই দুটো প্রশ্নের উত্তর আরও জটিল করে দিল সব প্রশ্নকে। সময়ে কি বলবে? কোন রহস্য উঠে আসবে ইডি তদন্তের মধ্যে? তাই নিয়ে সকলের মধ্যে ফের শুরু হয় নতুন করে জল্পনা। কার কার নাম এবার পার্থ চ্যাটার্জি ইডি-র জেরার মুখে আনতে চলেছেন তাই এখন দেখার। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, সময় কথা বলবে। তবে এখন সকলকে সেই সময়ের দিকে উদগ্রীব হয়ে তাকিয়ে থাকতে হবে। এরপর আরও জল্পনা শুরু হয়ে গেছে যে শুধু পার্থ চ্যাটার্জি নয় আরও রাঘব বোয়ালরা ইডি-র তালিকায় রয়েছে, একে একে সবার ডাক পড়বে।
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে অর্পিতা মুখার্জি রাজস্বাক্ষী হতে চলেছেন। অন্যদিকে পার্থ চ্যাটার্জি ইডি-র আচরণের প্রতি বেশ ক্ষুব্ধ কারণ তিনি ভাত ভালোবাসেন আর তাকে তা দেওয়া হচ্ছে না কারণ ইডি ভুবনেশ্বর এইমস-এর ডায়েট চার্ট অনুযায়ী খাবার দিচ্ছে কিন্তু অন্যদিকে অর্পিতার জন্য কোন বাধা নিষেধ নেই। কিন্তু গতকাল ও আজ যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে সন্দেহের পারদ আরও চড়ছে। গতকাল জানা গেছে বারুইপুরে পার্থ-অর্পিতার যে “বিশ্রাম” নামে বাগানবাড়ি রয়েছে সেখানে চুরি হয়েছে। সকলেই সন্দেহ করছেন এটা চুরি হতে পারে না। ওখানেও অনেক নথি ও টাকা ছিল তা সরানো হয়েছে। আবার আজ জানা গেল ডায়মন্ড সিটি সাউথে অর্পিতার যে চারটি বিদেশি গাড়ি ছিল তা উধাও হয়ে গেছে। দুটো ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহল এখন সন্দেহ করছে আরও টাকার হদিস পাওয়া যেত তাই দু জায়গা থেকে টাকা সরিয়ে নেওয়া হল। কিন্তু অর্পিতার ফ্ল্যাটে মূল প্রবেশদ্বারে সিকিউরিটি থাকা সত্ত্বেও চার চারটে গাড়ি কিভাবে গায়েব হয়ে গেল? ইডি আবাসনের সিসিটিভি দেখবে যদি কোন কিছু হদিস করা যায় কিন্তু বারুইপুরের বাগানবাড়িতে কোন সিসিটিভি নেই তাই সেটার ব্যাপারে কিছু পাওয়া যাবে না।