প্রথম পাতা

সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে গড়িয়ায় মুরগীর দোকানে বিবেকহীন মানুষের লাইন, পুলিশের হস্তক্ষেপ

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২২শে মার্চ ২০২০ : করোনার প্রভাব যেভাবে সারা দেশে বাড়ছে তার সাথে বাড়ছে কলকাতাতেও, পরিস্থিতি মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলছে। বারবার করে রাজ্য সরকার ঘোষণা করছে মানুষ যেন জমায়েতে না যায়, মানুষ যাতে নিজে থেকে সতর্কতা বজায় রাখে।এমনকি সরকার এটাও বলেছে কোন ব্যবসায়ী যেন এই সুযোগ সদব্যবহার করে কালোবাজারি না করে।

আজ সোনারপুরের গড়িয়া স্টেশন এলাকায় নবগ্রামে বেশ কয়েকটা মুরগির দোকানে মানুষের লাইন দেখলে মনে হচ্ছিল কাল থেকে আর মুরগি পাওয়া যাবে না। আজকেই মুরগি না খেতে পাড়লে বোধহয় জীবন ব্যর্থ হয়ে যাবে। বারবার করে মানুষকে সচেতন করা সত্ত্বেও মানুষ নির্লজ্জের মত প্রায় ৬০-৭০ জন ঝাপিয়ে পড়ে মুরগির মাংস নেওয়ার জন্য। এলাকার কিছু মানুষ প্রতিবাদ করলে দোকানদার জানায়, তাঁর কাছে সেরকম কোন খবর নেই যে আজ মানব কারফিউ হচ্চে। এরপর বিতর্ক আরও বাড়িয়ে তোলে এক মুরগি ব্যবসায়ী নাম প্রতাপ। একাধিক মানুষ পরিস্থিত নিয়ে প্রতিবাদ করলে কিছু মানুষ চলে গেলেও কয়েকজন সেই নির্লজ্জের মত দাঁড়িয়ে ছিল। অবশেষে গোটা মুরগি নিতে বাধ্য হয়। মানুষ নরেন্দ্রপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাঁকে দোকান বন্ধ রাখার কথা বলে। এদিকে এদিন এই এলাকার বাকি ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রাখে।মানুষ এতটাই বিবেকহীন, বিবেচনাহীন হয়ে পড়েছে যার তুলনা নেই। এক শ্রেনীর মানুষ পরিস্থিতি নিয়ে এতটাই ভ্রুক্ষেপহীন ও নিরুত্তাপ যা প্রশাসনকে ভাবাচ্ছে।

এদিকে বেশ কয়েকদিন ধরে মুরগির মাংসের দাম এত কম ছিল যে মানুষ মাছ খাওয়া ভুলেই গিয়েছিল। মুরগির মাংস এতদিন ৬৫-৭০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছিল কিন্তু আজ সকালে মানুষের চাহিদা দেখে এই ব্যবসায়ী মুরগির মাংসের দাম চড়িয়ে দিয়ে করে ১০০ টাকা প্রতি কেজি।মানুষ দাম নিয়ে বলাতে ব্যবসায়ী জানায় আজ দাম চড়া তাই দাম বেড়েছে।

মানুষকে যতই সচেতন করার চেষ্টা করুক সরকার, আজও কিছু মানুষ আছে সচেতনতা তো দুরের কথা, সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলতে ভালোবাসে। তাদের ধারণা সরকার তাদের কি করবে। তারাই তো সরকারকে চালনা করে। এদিন পুরপিতাকে মানুষের সচেতনতার জন্য এলাকায় দেখা যায় নি।সরকার স্কুল, কলেজ, অফিস, বড় বাজার, মন্দির, মসজিদ, সিনেমা হল, সিনেমার শুটিং সব বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শুধুমাত্র করোনা ভাইরাসের সংক্রামন থেকে যাতে আক্রান্ত না হয়।আজ কলকাতায় বাস, ট্রেন, ট্যাক্সি চলছে কম। কিছু শ্রেনীর মানুষ সেই নির্দেশকে উপেক্ষা করে মাছের দোকানে, মদের দোকানে, মুরগির দোকানে ঢল নামিয়ে দিয়েছে আর সেই সুযোগে ব্যবসায়ীরাও তাদের মুনাফের হার বাড়িয়ে নিয়েছেন।সাম্প্রতিক গড়িয়া স্টেশন এলাকায় বাজার থেকে এক আলু ব্যবসায়ীকে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ এসে গ্রেফতার করে। এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আলু প্রতি কেজি ৩০টাকা করে বিক্রির অভিযোগ ওঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *