জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা সংবাদ সংগ্রহ করছেন তাদের কুর্নিশ জানাতে হয়
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, দঃ ২৪ পরগণা, ৩১শে মে ২০২০ : সাংবাদিকতা পেশাটা খুবই ঝুঁকি পূর্ণ। উপর থেকে তা বোঝা যায় না, কাজে নামলে তা উপলব্ধি করা যায়।বহু ক্ষেত্রে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সংবাদ সংগ্রহ করতে হয়। জীবনকে বাজি রেখে যাদের সংবাদ সংগ্রহ করাটা নেশা তাঁরা করবেনই। আবার অনেকে সেই ঝুঁকি নিতে অনেকটা পিছিয়ে রাখে নিজেকে।
সাম্প্রতিক আমফান ঘুর্নি ঝড়ের তান্ডব গোটা দঃ ২৪ পরগণা জেলাকে তছনছ করে দিয়ে মানুষকে এক ভয়াবহ অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।দঃ ২৪ পরগণার উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ আজ ডাঙায় বাঘ আর জলে কুমিরের সাথে লড়াই করে বেঁচে আছেন। সেই পরিস্থিতিতে প্রত্যন্ত গ্রামের মধ্যে বুক পর্যন্ত জলে নেমে বিপদকে উপেক্ষা করে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহের কাজে মত্ত। তাঁরা জীবনকে বাজি রেখে সরকারের নজরে সেই মানুষগুলোর কান্না তুলে ধরতে ভয় করে নি।তুলে ধরেছেন মানুষের করুন আর্তনাদের কথা, ভয় করেনি নিজের বিপদের।আমফানের তান্ডবের ফলে একাধিক গ্রাম আজ জলমগ্ন, বহু কাঁচা বাড়ি ঘর ভেঙে গেছে, চারিদিকে শুধু জল, মাটি বলতে আজ কিছুই চোখে দেখা যাচ্ছে না।এরকম অবস্থাতেও তাঁরা তাদের কাজ করে গেছে। সত্যি তাদের এই উৎসাহকে কুর্নিশ জানাতে হয়। আমরা যাদের কথা আজ তুলে ধরলাম তাঁরা কলকাতা টি ভি-র সাংবাদিক ও ক্যামেরা পার্সেন।কেউ কি মনে রাখবে এদের লড়াইয়ের কথা, কোন রাজনৈতিক দল কি প্রকাশ্যে কোথাও এদের কাজের প্রশংসা করবে।কোন সরকার কি এদের লড়াইয়ের স্বীকৃতি দেবে? প্রশ্ন অনেক, আক্ষেপ অনেক, ক্ষোভ অনেক কিন্তু তার মধ্যেই আমাদের কাজ করে যেতে হয় নিঃশ্বব্দে, নিরলস ভাবে। কোনদিনও সঠিক মূল্যায়ন হবে না আমাদের লড়াইয়ের। মূল্যায়ন হবে তৈলমর্দনকারীদের, যারা সকারের ঠাণ্ডা ঘরে বসে সরকারের কথার তালে তাল মিলিয়ে চলবে।সরকার তাদেরই দেবে স্বীকৃতি কারণ তাঁরা তেল মারে যে।