বাংলার রাজনীতি কোন তলানিতে এসে ঠেকেছে তা আজ বুঝিয়ে দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বামছাত্রেরা
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ : পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি যে কোন তলানিতে এসে ঠেকেছে তা আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ফের একবার বুঝিয়ে দিল। এছাড়া বামেদের তো আর কোন জায়গা নেই বঙ্গ রাজনীতিতে তাই নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে এধরনের অসভ্য আচরণের সাহায্য নিতে হচ্ছে তাঁদের ছাত্র সংগঠনগুলোকে তা বেশ পরিস্কার বোঝাই যাচ্ছে। বাম শরিক দল থেকে বাম ছাত্র সংগঠন যে আর সিপিএমের নির্দেশে চলতে চাইছে না তা বহুদিন আগেই বোঝা গেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপি-র উদ্যোগে কে পি বসু মেমোরিয়াল হলে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল যার বিষয় ছিল “স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতবর্ষের শাসন ব্যবস্থা”। এছাড়া
![](http://takmaaa.com/wp-content/uploads/2019/09/LEFT-STUDENTS-AGITATION-AROUND-BABUL-SUPRYO-WHEN-HE-ARRIVE-TO-ATTEND-ABVP-PROGRAM-AT-JU-9-1024x683.jpg)
নবাগত ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও সঙ্গীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয়, ডঃ প্রঃ অচিন্ত্য বিশ্বাস (প্রাক্তন উপাচার্য গৌর বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়), সুপ্রিমকোর্টের আইনিজীবি দিলীপ কুমার দুবে, ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল সহ অনেকে। কিন্তু এতটা তো ঠিকই ছিল বিপত্তি শুরু হল বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে। বাবুল সুপ্রিয়কে দেখে যাদবপুর বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা “গো ব্যাক” স্লোগান দিতে শুরু করে, এরপর বাবুলের উপর আক্রমণ শুরু করে,
![](http://takmaaa.com/wp-content/uploads/2019/09/Babul-at-JU-1024x683.jpg)
এমনকি বাবুলের জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়, গায়ে পর্যন্ত হাত তোলা হয়, এছাড়া তো অকথ্য ভাষা প্রয়োগ তো আছেই। প্রথমে বাবুল ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরবর্তীতে নাগালের বাইরে চলে যায়। অনেক পড়ে যাদবপুর থানার পুলিশ আসে কিন্তু ততক্ষনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যারা বাবুলের উপর আক্রমণ করে তাদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, অনেকেই বহিরাগত বলে জানা যায়, তবে ছাত্র সংগঠনের মদত ছাড়া যে এমন একটা ঘৃণ্য ঘটনা ঘটানো হয় তা
![](http://takmaaa.com/wp-content/uploads/2019/09/Babul-at-JU-1-1024x515.jpg)
ছিল জলের মত পরিস্কার।এমনকি অগ্নিমিত্রা পালের উপরও আক্রমণ করা হয়, তাঁর শাড়ি ছিঁড়ে দেওয়া হয়।পরিস্থিতি হাতের বাইরে গেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছান রাজ্যপাল। তাঁকে ঘিরে চলে তান্ডব। পরে তাঁকে অন্য গেট দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রাজভবনে। বাবুল বলেন, শারীরিক ও মানিসিকভাবে আমি যথেষ্ট শক্ত, আমায় কিছু করতে পারবে না।কিন্তু আমি ভাবছি একি চলছে এই রাজ্যে? দেখা যাক একজন সাংসদের গায়ে হাত তোলাকে কিভাবে দেখে রাজ্য সরকার, কি ব্যবস্থা নেয় তাদের বিরুদ্ধে, কারণ সব জায়গায় পরিস্কার ভাবে আক্রমণকারীদের ছবি প্রকাশিত হয়েছে, সনাক্ত করে কি ব্যবস্থা নেয় দেখি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দিনে দিনে একটা নোংরামোর আতুর ঘর হয়ে উঠেছে। একজন সাংসদ তাঁর মত যে কোন অনুষ্ঠানে যেতেই পারেন, এর উপর অনুমতি নিয়েই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। একটা কথা মানতেই হবে, বাম ছাত্র সংগঠনগুলো এখন বিজেপি ছাত্র সংগঠনকে যথেষ্ট ভয় পেতে শুরু করেছে। তাদের ধারণা বিজেপি এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দখল করার পরিকল্পনা নিয়েছে। আর এটাও জানে বিজেপি দখল নিলে তাদের সামান্য অস্তিত্যটাও বিলীন হয়ে যাবে।এরপর উপায় না দেখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বাম ছাত্র সংগঠনের সেই চেনা পদ্ধতি রাস্তা অবরোধ করা, মানুষের হয়রানি বাড়ে। অফিস ফেরতা মানুষদের হেনস্থা হতে হয়। একদিকে যেমন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাম ছাত্র সংগঠন মিছিল করে ২০শে সেপ্টেম্বর অন্যদিকে বিজেপি ছাত্র সংগঠন গান্ধী মুর্তির সামনে ধর্নায় বসেছে। রাজ্য রাজনীতিকে ফের একবার চাঙ্গা করে তুলল এই দুই ছাত্র সংগঠন।
![](http://takmaaa.com/wp-content/uploads/2019/09/Babul-at-JU-2.jpg)