বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্র সরকারের বেপরোয়া জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিদায়ী ১১৩ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা গোপাল রায়ের নেতৃত্বে পাড়ায় পাড়ায় বিক্ষোভ
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৮ই জুলাই ২০২০ : বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকারের বেপরোয়া ও অমানবিক মনোভাবের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে গর্জে উঠেছে গোটা রাজ্য।মোদী সরকারের “আচ্ছে দিন” আজ যে কতটা কার্যকরি হয়েছে তা মানুষ প্রতিটা লোমকূপে টের পাচ্ছে। যেখানে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম তলানিতে এসে ঠেকেছে সেখানে ভারতে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম লাগাতার বৃদ্ধি করে যাচ্ছে কেন্দ্র সরকার।ভারতের থেকে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতেও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি হয় নি। একদিকে দেশের মানুষ করোনার লকডাউনের কারণে নাজেহাল অবস্থা। মানুষ আজ কর্মহীন হয়ে পড়েছে, খাদ্যহীনতায় ভুগছে তার উপর জ্বালানি তেলের দাম বাঁড়াতে বাজারের মূল্যবিদ্ধি মানুষকে আরও নাজেহাল করে তুলেছে।
আজ কলকাতা কর্পোরেশনের ১১৩ নং ওয়ার্ডে বিদায়ী পৌরপিতা গোপাল রায়ের নেতৃত্বে প্রতিটা গলিতে, প্রতিটা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীদের বাড়ির সামনে বসে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করল। গোপাল রায় বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে নিজের জীবনকে বাজি রেখে রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে অবিরাম পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন সেখানে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার মানুষের জীবনকে আরও অতিষ্ট করে তুলছে। এক মাসে ২২বা জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করেছে। আজ পেট্রোলের দাম ৮১টাকা যার মধ্যে বিজেপি সরকার মানুষের থেকে ৩৫টাকা কর বাবদ আদায় করছে। যদি মানুষের কথা ভাবতো তবে এই ৩৫টাকা এই মহামারীর সময় অনুদান হিসাবে ছাড় দিতে পারতো। এরফলে পেট্রোলের দাম কমে ৪৬ টাকা হত। এবার এই দামের মধ্যে রাজ্য সরকার শুধুমাত্র পাচ্ছে ১০টাকা। কেন্দ্র সরকার ছাড় দিলে রাজ্য সরকারও ছাড় দিত। এতে মানুষ উপকৃত হত। আমরা নেত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাবো যতদিন না কেন্দ্র সরকার জ্বালানি তেলের বিষয়ে বিবেচনা না করছে। এছাড়া সারা দেশে বেকারত্ব বাড়ানোর ঠেকা নিয়ে রেখেছে মোদী সরকার। রেলের ১৭০টা ট্রেন বেসরকারির হাতে তুলে দিল, কয়লাখনিগুলো বেসরকারিকরণ করে দিল। এর ফলে দেশের মানুষ কর্মহীন হওয়ার ফলে বেকার সংখ্যা বাড়বে।সেদিকে নজর নেই কেন্দ্র সরকারের। এই মহামারীর মধ্যে কোথায় মানুষকে আর্থিক সাহায্য করবে, তা না করে মানুষকে বেকার করার ছক কষছে মোদী সরকার। এই জন বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে বাংলা আগেও লড়াই করেছে আবার লড়াই করবে যাতে গোটা দেশ বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে।