প্রথম পাতা

সোনারপুর উত্তরে তৃণমূলের ২৩তম প্রতিষ্ঠা দিবসের সাথে নাগরিক দিবস ও প্রতিভা অন্বেষণের খোঁজে প্রতিযোগিতা

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ৩রা জানুয়ারি ২০২০ : সোনারপুর উত্তর বিধানসভায় ২৭ নং ওয়ার্ডে তৃণমূল দলের ২৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবস জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা উত্তোলনের সাথে কেক কাটিং-এর মাধ্যমে পালিত হল।জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভার সাংগঠনিক নেতা এবং রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার সি আই সি নজরুল আলি মন্ডল।পতাকা উত্তোলনের পর ওয়ার্ডের সকল কর্মীদের নিয়ে দলীয় কেক কেটে সকলকে বিতরণ করা হয়। এরপর বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সৌম্যব্রত দত্ত, নজরুল আলি মন্ডল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উদ্যোক্তা প্রদীপ চক্রবর্তী (বাপ্পা), বিশ্বজিত দাস (নন্দ) সহ অনেকে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষক সৌম্যব্রত দত্ত বলেন, আজ দেশের মহান নেত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে সারা রাজ্যে যেভাবে “নাগরিক দিবস” পালিত হচ্ছে ঠিক একই ভাবে সোনারপুর উত্তর বিধানসভায় পালিত হচ্ছে নাগরিক দিবস। দেশের এক সাম্প্রদায়িক দলের মদতে মানুষের মধ্যে জাতির মধ্যে বিভেদ ও হিংসা ছড়িয়ে দেওয়ার একটা প্রয়াস চলছে। এই বিজেপি নামক সাম্প্রদায়িক দল বাংলার উন্নয়ন, শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও সংহতিকে বিঘ্নিত করে একটা হিংসার পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে হিন্দু-মুসলমান দুই জাতের মধ্যে হিংসার মনোভাব তৈরি হয় যার ফয়দা তাঁরা তুলবে।তাঁরা চাইছে রাজ্যে একটা দাঙ্গা লাগাতে।কিন্তু মমতা ব্যানার্জি যতদিন জীবিত থাকবেন এখানে এন আর সি বা সি এ এ হবে না এটা বলতে পারি আর সাথে এটাও বলতে পারি এই রাজ্যের সাম্প্রদায়িক পরিবেশ নষ্ট হবে না।

এখানে উন্নয়ন হচ্ছে সব জাতির মানুষের জন্য তিনি উন্নয়ন করে যাবেন। অনুষ্ঠানে নজরুল আলি মন্ডল বলেন, এন আর সি ও সি এ এ-র নামে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিজেপি সরকার।ভোটার কার্ডের মাধ্যমে আজ নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, সেই ভোটার কার্ড তিনি আজ নাগরিক পরিচয়পত্র হিসাবে মানতে চাইছেন না। তিনি আঁধার কার্ড চালু করেছেন, সেই আঁধার কার্ড তিনি গ্যাসের লাইন, প্যান কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সাথে লিং করানোর কথা বলেছেন কিন্তু আজ বলছেন সেই আঁধার কার্ডের কোন গুরুত্ব নেই নাগরিকত্বের পরিচয়ে। বিজেপি যা মুখে বলে তা কাজে করে না। একসময় এই ভোটার কার্ডের জন্য মমতা ব্যানার্জি লড়াই করেছিলেন শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র সরকার সেই আন্দোলনকে মান্যতা দিয়ে ভোটার কার্ড চালু করেছেন। মমতা ব্যানার্জি সারা জীবনে মানুষের জন্য লড়াই করে এসেছেন আজও করছেন। এবার তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের এই নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের রাস্তায় নেমেছেন। এতেও তিনি জয়ী হবেন। তাঁর আন্দোলনকে মান্যতা দিয়ে এবারও কেন্দ্রীয় সরকারকে পিছু হটতে হবে। ইতিমধ্যে বহু রাজ্য কেন্দ্র সরকারের এই বিলকে সমর্থন করছেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। মমতা ব্যানার্জি বলেছেন কেন্দ্র সরকার আইন তৈরি করে আর তা কার্যকরি করে রাজ্য।

উদ্যোক্তা প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, দলের প্রতিষ্ঠা থেকে প্রতিবছর আমরা এইদিনে গোটা সোনারপুর জুড়ে প্রতিভা অন্বেষণের খোঁজে আঁকা, নৃত্য ও সঙ্গীতের উপর প্রতিযোগিতা করি। এখানে সেরা প্রতিভাসম্পন্ন শিল্পীদের রাজ্য সরকারের যুব কল্যান দপ্তরের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানে সঙ্গীতে বিচারকের ভুমিকায় ছিলেন শিখা চন্দ, আবদুল আওয়াল এবং দেবব্রত মল্লিক, অঙ্কনে বিচারক ছিলেন শেখর দাস ও নৃত্যে বিচারক ছিলেন অপর্ণা চ্যাট্টার্জি, সোনালি রায়।

Please watch the full vedio at our web channel abptakmaa on youtube

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *