রাজনীতি

রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা মানুষের কাছে কেন অপছন্দ জেনে নিন

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ : রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা দীপালি নস্কর একজন কলেজের অধ্যাপিকা। প্রথম যখন এই ওয়ার্ডের ২০০৯ সালে তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হন তখন মানুষ ভেবেছিল একজন শিক্ষিকা হিসাবে তিনি অন্যদের থেকে নিশ্চয়ই অনেক ভাল হবেন।এছাড়া তখন রাজ্যে একটা পরিবর্তনের হাওয়া চলছিল। মানুষ তখন বাম জামানার থেকে রেহাই-এর রাস্তা খুঁজছিল।কিন্তু ২০১৫ সালে তিনি যখন পুনরায় তৃণমূলের প্রার্থী হলেন তখন মানুষ চিন্তায় পড়ে গেল। তখন তাঁরা বিকল্প খুঁজতে লাগল। ফের ভাবলো রাজ্যে যখন পরিবর্তনের সরকার হয়েছে তখন কিছুটা হলেও উন্নয়ন হবে। ফের তাকে জয়ী করে আনলো। কিন্তু এবার তো আরও খারাপ হল। প্রথমবার পৌরমাতাকে সপ্তাহে এক বা দুদিন পৌরসভা আপিসে দেখা যেত। দ্বিতীয়বার তো আর তাকে দেখাই গেল না। তাকে দেখা না যাওয়ার সাথে সাথে উন্নয়নও উধাও হয়ে গেল।

এবার ২০২০ সালে ফের পৌর নির্বাচন, এবার মানুষ একেবারে বেঁকে বসেছে। তার একটা উদাহরণ দিলে কিছুটা আঁচ করা যাবে। সাম্প্রতিক রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার প্রার্থী তালিকা নিয়ে যখন গোটা গড়িয়ায় চর্চা চলছে তখন ৬ নং ওয়ার্ড আলোচনার মধ্যে অন্যতম। সাম্প্রতিক গড়িয়া শ্রীনগরে সবুজ মেরুন ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে আলোচনা হতে শোনা গেল ৬ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা দীপালি নস্করকে নিয়ে। যদিও এই ক্লাব ৬ নং ওয়ার্ডের মধ্যে নয়। ক্লাবের কর্মকর্তা দীলিপ নস্কর আলোচনা করছেন দীপালির মানে একজন শিক্ষিকার আচরণ নিয়ে। শুনতে পেলার গত কালী পুজোর আমন্ত্রণের ঘটনা। সবুজ মেরুন ক্লাব রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। তাদের ক্লাবের চেয়ারপার্সেন পৌরমাতা শিক্ষিকা পাপিয়া হালদার, পৌরমাতা হওয়ার সুবাদে তিনি ক্লাবের সদস্যদের বলেছিলেন গড়িয়ার সব কাউনসিলারদের আমন্ত্রণ পত্র পৌঁছে দিতে। এটা এক পূর প্রতিনিধির বাকি পূর প্রতিনিধিদের জন্য সৌজন্যমূলক সম্মান জ্ঞাপন। পাপিয়া হালদারের কথা মেনে ক্লাবের সদস্যরা সব পৌর প্রতিনিধিদের সাথে ৬ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা দীপালি নস্করকে আমন্ত্রণ পত্র পৌঁছাতে যায় তাঁর বাড়িতে। এর প্রধান কারণ গড়িয়া স্টেশনের সব ওয়ার্ডে তৃণমূলের দখলে। কিন্তু দীপালি নস্করের বাড়ি পৌঁছানোর পর যে অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে এসেছিল তাঁরা আর দ্বিতীয়বারের জন্য যাওয়ার সাহস করবে না বলে জানিয়ে দেয়। কারণটা কি? সকালে পৌরমাতার বাড়িতে যেতে তিনি প্রথমে দোতলা থেকে প্রশ্ন করেন, কোথা থেকে তাঁরা এসেছে, প্রশ্নের উত্তরে তাঁরা জানায় শ্রীনগরের সবুজ মেরুন ক্লাব থেকে তাকে আমন্ত্রণ করতে এসেছে, পাপিয়া দি পাঠিয়েছে। এটা শোনার পর তিনি বলেন, ওই ওখানে চিঠিটা রেখে চলে যা।তিনি সৌজন্যের খাতিরে একবার নীচে নেমে আমন্ত্রণ পত্রটা হাতে নিতে পারলেন না।হয়তো তিনি খুব ব্যস্ত ছিলেন কলেজে যাবেন বলে, হতেই পারে।তা বলে “তুই” কথাটা কিরকম কানে বাজে না? তাঁরা তো এরকম উত্তর শুনে রেগে আগুন। ক্লাবে ফিরে এসে জানায় কেন তাদের এভাবে অসম্মান করতে পাঠানো হয়েছিল। ভাবুন একবার একজন পৌরমাতাকে আমন্ত্রণ করতে গেলে যদি এধরনের ব্যবহার পেতে হয় তবে ওয়ার্ডের মানুষদের কি না সহ্য করতে হচ্ছে। যদিও আমি সেই পরিস্থিতিতে সামনে ছিলাম না।তিনি বললেন বলে জানলাম, আর সবুজ মেরুনের তাঁর সাথে সেভাবে কোন শত্রুতা নেই যে তাঁর নামে অপপ্রচার করবে। এধরনের আরও তথ্য সংগৃহীত হচ্ছে যা আমরা পরবর্তীতে প্রকাশ করবো। একজন শিক্ষিকার থেকে এধরণের আচরণ মানুষ আশা করে না। কিন্তু এগুলো প্রকাশিত হলে তিনি আবার বেজায় চটে যান। সাক্ষাৎ হলে তিনি আবার তাই নিয়ে অভিযোগ জানান।এরপরও তিনি ও তাঁর স্বামী জোর দিয়ে পরিচিত মহলে বলেন নির্বাচনে তিনি কেন জয়ী প্রার্থী হিসাবে টিকিট পাবেন না?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *