বিনোদন

পুজোয় এবার গঙ্গার বুকে ভাসমান ভোজন রসিক বাঙালির জন্য দেশি ও বিদেশী জিভে জল আসার মত খাদ্য

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২৪শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ : কলকাতার গঙ্গাবক্ষে ভাসমান হোটেল “ফ্লোটেল” যা ভারতে মাত্র একটাই, আর সেটাই ভারতের একমাত্র গর্ব। এবার সেই ভাসমান হোটেলে পুজোর সময় বাংলায় পুজোর সময় প্রবাসী বাঙালি ও বঙ্গ বাবু ও বিবিদের জন্য হয়ে উঠবে বাড়তি পাওনা। দুর্গাপুজোর পাঁচদিন চলবে বাঙালির রকমারি আহারের আয়োজন। এই পাঁচদিন থাকবে বনেদীবাড়ির বাবুয়ানা খানা খাজানা। ৪ঠা অক্টোবর থেকে ৮ই অক্টোবর চলবে এই উৎসবের আহার যার নামকরণ করা হয়েছে Buffet Style and Sepcial a La Carte Menu। এবার আসি কোথায় পাবেন এই আহারের আয়োজন, ফ্লোটেলে এসে সোজা চলে আসতে হবে “দ্য ব্রীজ” যা নদী থেকে ৮০ ফুট উপরে, মানে একেবারে প্রকৃতির মাঝে। কোন সময় গেলে এই ভোজন অপেক্ষা করবে আপনার জন্য জানেন দুপুর ১২.৩০ থেকে ৪টে পর্যন্ত মানে একেবারে মধ্যাহ্নভোজ। কিন্তু এর জন্য কত খরচ হবে সেটা জানতে হবে তো, খুব একটা বেশি নয় মাত্র ১২৯৯ (অতিরিক্ত ৫% কর)। কিন্তু একটা পরিবার কি শুধু ভোজনের জন্য এখানে আসতে চাইবে? কখনই নয়, আহারের সাথে থাকবে বাউল গান, টেবিল

ম্যাজিক, উপহার আবার সুরেলা বাংলা গানের সাথে মাঝে মাঝে ডাকের বাদ্দি। একনজরে দেখে নেওয়া যাক নদী বক্ষে ফুরফুরে হাওয়ায় কি কি খাবার অপেক্ষা করছে, থাকবে জাপানি সুশি, কদবেলের আঁচার, ভেটকি ভাপার সাথে কাসুন্দি সালাদ, আফঘানি মুর্গ সালাটা, আবুদাবিদের ভাট্টি কি টাঙ্গি, স্ক্যান্ডিনাভিয়ানের কর্ণ ও কটেজ চিজ স্কেউইর্স, সুইস চিজ বল, ওয়াজেদি মটন বিরিয়ানির মধ্যে ডিম ও আলু, কুমিল্লার কসে কশা লোইট্টা, চিংড়ি মালাই চমৎকার, প্রিন্স দ্বারকানাথের প্রিয় শুক্তনি, জোড়াসাঁকোর রাজেন্দ্র মল্লিকের প্রিয় সোনা মুগের ডাল, ধোঁকার ডালনা, কাজু কিশমিশ দিয়ে

গোবিন্দভোগের বাসন্তি পোলাও, মরোক্কান মাংস ও স্টাফট সোয়ালো পাউরুটি, মটরশুঁটির কচুরি, দুই থাকের পানাকোটা, সীতাভোগ, আম ও চিজের কেক, নলেনগুড়ের সন্দেশ। এই উৎসবকে আরও জনপ্রিয় করতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার, রিশিতা গাঙ্গুলি, অভিনেতা রণজয়, সায়ন্ত মোদক, সপ্তর্ষি পাল, আনন্দ চৌধুরী, রাজদীপ সরকার। সকলে একসাথে উপভোগ করল গঙ্গাবক্ষে মধ্যাহ্নভোজন। সোহিনী সরকার তো বলেই ফেলল আর লোভ সামলানো যাচ্ছে না, মনে হচ্ছে কত তাড়াতাড়ি পুজোটা আসবে। রনজয় জানায়, ভোজন রসিক পেটুক বাঙালি পুজোয় খাবে না হয়েছে কখনও। আমিও তাদের থেকে বাদ যাই না।কি পড়ার পর ভাবছেন তো কবে গিয়ে একবার চেখে দেখা যেতে পারে।বাড়িতে রান্নার পাট চুকিয়ে পরিবার নিয়ে একবার চলে আসুন না নবমীর দুপুরে আর গঙ্গায় ভাসতে ভাসতে বেশ আমেজ করে গানের তালে দুলে দুলে প্রাণ খুলে পড়ে যান ভোজন প্রেমে। প্রচারে : অ্যাঞ্জেলা এন্টারটেনমেন্ট। ছবি : গোপাল দেবনাথ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *